সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতিগত জনগণনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্বস্তি পেল বিহার (Bihar) সরকার। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের কাজে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই বিহার সরকার চাইলে জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করতেই পারে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিহার সরকারকে নোটিসও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ফের বিহারের জাতিগত জনগণনা নিয়ে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, বিহারের এই জনগণনাকে দেশ ভাগের চেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিহারের জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশে অনুমতি দিয়েছিল পাটনা হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, আপাতত বিহারের জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশে স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। কারণ রাজ্য সরকারের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেখানেও বাধা দেওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: ‘আর কত নিচে নামবেন!’, রাবণরূপে রাহুলের পোস্টার দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন প্রিয়াঙ্কা]
তবে শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, এই গণনার তথ্য সম্পর্কে কোনও আবেদন জমা পড়লে তা বিচার করে দেখা যেতে পারে। বিহার সরকারকে নোটিসও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এই গণনা সংক্রান্ত তথ্যের রিপোর্ট জমা দিতে হবে বিহার সরকারকে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের আইনি আলোচনা শুরু হবে বিহারের জাতিগত জনগণনা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে বিহারের জাতিগত জনগণনার (Caste Census) ফলাফল। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ জনতা। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ। এই গণনাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল। তবে বিজেপির তরফে বারবার এই গণনার বিরোধিতা করা হয়েছে।