স্টাফ রিপোর্টার: করোনা আবহে বন্ধ ছিল অন্যান্য চিকিৎসা। বন্ধ ছিল গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারও। আনলক আবহে সব স্বাভাবিক হচ্ছিল ধীরে ধীরে। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বন্ধ হয়ে গেল অস্থিরোগ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত অস্ত্রোপচার।
পা ভেঙে গেলে অথবা কোমরে গুরুতর চোট পেলে ধাতব পাত বসিয়ে যে ধরনের অস্ত্রোপচার হয়, তা করতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। শনিবারই উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদিয়া থেকে আসা রোগীদের ফিরিয়ে দেয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অস্থিরোগ বিভাগ।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, গত তিন সপ্তাহ ধরে অস্থিরোগের কোনও গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার হচ্ছে না। রোগীর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, যন্ত্রণায় ছটফট করছেন রোগী। কিন্তু অস্ত্রোপচারের তারিখ দিচ্ছেন না চিকিৎসক। কেন এমন অবস্থা?
[আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামে জখম মমতা: অপসারিত রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়]
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পা, কোমর ভেঙে গেলে প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। ভাঙা হাড় জোড়া লাগানোর কাজ প্রতিনিয়ত করে থাকেন অস্থি বিশেষজ্ঞরা। অস্ত্রোপচার করে প্লেট ফিক্সেটরের মাধ্যমে ভাঙা হাড় জোড়া লাগানো হয়। আর তা করতে ধাতব পাত, স্ক্রু, বলের মতো সামগ্রী লাগে। এই ধরনের সামগ্রী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সরবরাহ করত যে সংস্থা, তারা আর তা সরবরাহ করছে না। ফলে স্টোরে এই ধরনের সামগ্রী নেই। কেন আচমকা সরবরাহ বন্ধ করল ওই সংস্থা? কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, ২০২০ সালে সংস্থার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। তবে তার পরেও ওই সংস্থা অস্থি অস্ত্রোপচারের মাল সরবরাহ করছিল। কিন্তু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মাল সরবরাহ বাবদ এক কোটি টাকা পায় ওই সংস্থা। যা তাদের এখনও দেওয়া হয়নি। আর তার জন্যেই বন্ধ বোন ইমপ্লান্টের যন্ত্রপাতি সরবরাহ। বন্ধ গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারও।
রোগীর পরিবারের আত্মীয়দের দাবি, অবিলম্বে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের এই ‘অচলাবস্থা’ কাটাতে হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনার আগেই ওই সংস্থাগুলির টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরও বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।