নন্দন দত্ত, সিউড়ি: স্বামীর সঙ্গে প্রেম করছেন পরিচারিকা! এই সন্দেহে পরিচারিকাকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় খুনের পর পাশের এক নির্মীয়মাণ বাড়িতে দেহও লুকিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্ত মহিলা। কিন্তু গ্রামবাসীদের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি তিনি। অবশেষে ওই বধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। গোটা ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ময়ূরেশ্বরের বেজা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম প্রতিমা দাস (৩৫)। বেশ কয়েকবছর আগে স্বামী মারা গেলে মায়ের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেছিলেন প্রতিমা। ছেলেকে মানুষ করার জন্য বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। তাঁকে খুনের দায়ে কল্যানী ওরফে কলিকে গ্রেপ্তার করেছে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। বেজা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা বাপী মন্ডল জানান, কল্যানীর স্বামীর নাম বুদ্ধদেব মন্ডল। কল্যানীর সন্দেহ ছিল বুদ্ধদেববাবুর সঙ্গে প্রতিমার বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক আছে। এনিয়ে তাঁদের পরিবারে ঝামেলা হত।
[আরও পড়ুন: বাংলার মুকুটে নয়া পালক, GI তকমা পেল মসলিন]
গ্রাম সূত্রে খবর, রোজকার মতো বুধবার সকালেও বেজা গ্রামের কালীতলা পাড়ায় ছন্দিতা প্রামানিকের বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন প্রতিমা। কাজ করে চলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরেননি। পরে বিকালে প্রতিমার বাড়িতে খোঁজ করতে আসে তাঁর ছেলে। তার পরই গোটা গ্রাম জুড়ে তল্লাশি শুরু হয়। সে সময় কল্যানীর আচরণ অস্বাভাবিক ঠেকে গ্রামবাসীর।
অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে বুদ্ধদেববাবু বাড়িতে নেই। ফলে এদিন ঘরে একাই ছিলেন কল্যানী। প্রতিমাকে সকালে দেখতে পেয়ে বাড়িতে ঢুকিয়ে পিছন থেকে ইঁট দিয়ে মাথায় থেঁতলে খুন করেন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরে পাশের নির্মীয়মাণ বাড়িতে দেহটি টেনে নিয়ে যান। সেখানে একটি কোনে দেহটি ঢাকতে সরষের আঁটি চাপিয়ে রাখেন। এলাকার লোকজন কল্যানীকে খুনি অনুমান করে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়ূরেশ্বর থানা ও মল্লারপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত কল্যানীকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। এর পরই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানে সেই বাড়ি থেকে প্রতিমার দেহ উদ্ধার হয়। কল্যানীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।