সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা ও মিতু সিং ভয় পাচ্ছেন যে কোনও সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারে CBI। সেই কারণে বম্বে হাই কোর্টের (Bombay HC) কাছে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন পিটিশনের শুনানি দ্রুত শুরু করার জন্য। বিচারপতি এসএস শিন্ডে ও বিচারপতি এমএস কর্নিক এমন আবেদন করার কারণ জানতে চাইলে প্রিয়াঙ্কা ও মিতুর আইনজীবী মাধব থোরাট ওই দু’জনের তরফে আদালতকে জানান, যেহেতু ওঁরা দু’জন এই মামলায় অভিযুক্ত, তাই তাঁরা যে কোনও সময় গ্রেপ্তার হওয়ার ভয় পাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। সেই এফআইআর বাতিল করার দাবিতে পিটিশন জমা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও মিতু। এদিকে তাঁদের পিটিশন বাতিল করার আরজি জানিয়েছেন রিয়া। আগামী ৪ নভেম্বর ওই পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা।
[আরও পড়ুন: বিসর্জনে গন্ডগোলের জেরে বিহারে মৃত যুবক, ভাইরাল পুলিশের লাঠিপেটার ভিডিও]
সুশান্তকে ‘ভুয়ো প্রেসক্রিপশন’ দেওয়ার অভিযোগে এফআইআরটি করেছেন রিয়া। তাঁর দাবি, কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করে ওই প্রেসক্রিপশনটি তৈরি করা হয়। তাঁর এফআইআরে দিল্লির চিকিৎসক ড. তরুণ কুমারেরও নাম রয়েছে। একজন কার্ডিওলজিস্ট হয়ে তিনি কী করে একজন অপরিচিতকে এই ধরনের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিয়া। প্রেসক্রিপশনে নিষিদ্ধ ওষুধের নাম যেমন রয়েছে, তেমনই এমন সব ওষুধ রয়েছে যা কোনও সঠিক ডোজ ও পরিমাণমতো গ্রহণ না করলে তা থেকে দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। বান্দ্রা থানায় দায়ের হওয়া ওই এফআইআর পরে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়।
সুশান্তের দিদিদের বিরুদ্ধে রিয়ার আনা অভিযোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ৮ জুন এক ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা গিয়েছিল, প্রিয়াঙ্কা তাঁর ভাইকে প্রতিদিন ডিপ্রেশনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে ওষুধ কেনার জন্য দিল্লির এক চিকিৎসকের বানানো প্রেসক্রিপশনও পাঠিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এর ছ’দিন পরেই সুশান্তের বেডরুম থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ।