সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে জল্পনার অবসান হয়েছে। কিন্তু উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখল বিজেপি। এই পদের জন্য একাধিক নাম উঠে এসেছে। জল্পনা আরও বাড়িয়েছে প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির (Sushil Modi) টুইট। বিজেপি সূত্রের খবর, এবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন না তিনি। দলের অন্দরেই কি কোন্দল চলছে, উঠছে প্রশ্ন?
রবিবার জোটের বৈঠকে নেতা হিসেবে নীতীশকে বেছে নেন জেডিইউ, বিজেপি, বিকাশশীল ইনসান পার্টি (VIP) এবং হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার (HAM) বিধায়করা। বৈঠকে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিংও। তবে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য কারোর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
[আরও পড়ুন : বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশের নামেই শিলমোহর NDA’র, শপথগ্রহণ সোমবারই]
এদিনের বৈঠকে বিধানসভায় এনডিএ-র নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নীতীশ কুমার। তাঁর ডেপুটি হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে সুশীল মোদিকে। আবার বিহার বিজেপির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দীর্ঘদিন আরএসএসের সঙ্গে দলের সমন্বয় রক্ষাকারী তারকিশোর প্রসাদ। তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদেও বসানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু কেন সরানো হচ্ছে সুশীল মোদিকে? তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিহারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ নেতৃত্ব।
এদিন বৈঠক শেষে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দেয় সুশীল মোদির টুইট। লেখেন, “গত ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বিজেপি ও সংঘ পরিবার অনেক কিছু দিয়েছে। তাই এবার তাঁরা যে দায়িত্ব দেবে তা তাই পালন করব। তবে দলীয় কর্মীর পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।” এই টুইট দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, উপমুখ্যমন্ত্রী পদ না পেয়ে কিছুটা ক্ষুণ্ন সুশীল মোদি। দলীয় সূত্রের খবর, তাঁকে বিহার ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতে পারে। যদিও পালটা মত রয়েছে। তাঁরা বলছেন, বিহারে বিজেপির সাফল্যর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। পুরস্কারস্বরূপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে তাঁকে।
[আরও পড়ুন : ভোটের পরই দুষ্কৃতীরাজ বিহারে! দিওয়ালির রাতে সমস্তিপুরে গুলিতে প্রাণ গেল বৃদ্ধা ও শিশুর]
এদিকে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দু’টি নাম সামনে এসেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডেপুটি হচ্ছেন দুজন। তারকিশোর প্রসাদের পাশাপাশি উঠে এসেছে রেণুদেবীর নামও। তবে বিহারে বিজেপির এত ভাল ফল করার পরও সুশীল মোদির দলীয় প্রধান ও উপমুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ খোয়ানোটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।