সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি সুস্মিতা সেনকে নিজের প্রেমিকা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ললিত মোদি। তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা নানা মহলে। এই বিষয় নিয়ে সুস্মিতা স্পষ্ট কিছু না বললেও, তিনি কিন্তু আপত্তিও করেননি। তবে সুস্মিতার প্রতি প্রেম নিয়ে ললিত মোদি যে একেবারে বিন্দাস, তার প্রমাণ পাওয়া গেল ফের। প্রকাশ্যেই সুস্মিতার রূপের প্রশংসা করলেন ললিত!
গপ্পোটা হল, সুস্মিতা সেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। যেখানে তাঁকে নীল সমুদ্রের জলে ডুব দিতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিও দেখেই প্রেমে হাবুডুবু ললিত মোদি। ভিডিও দেখে মন্তব্য বক্সে ললিত মোদি লেখেন, ‘হট!’ সুস্মিতার ছবিতে ললিতের এই কমেন্ট নজরে পড়েছে নেটিজেনদের। আর তারপর থেকেই ফের ললিত ও সুস্মিতার প্রেম নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চা।
আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদির (Lalit Modi) সঙ্গে সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আসার পর নেটদুনিয়ার একাংশের কটাক্ষের শিকার সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে নিন্দুকদের একহাত নিলেন প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী।
[আরও পড়ুন: খোলা আকাশ, সবুজ প্রান্তরে মনের খোঁজ, শ্রীজাতর ‘মানবজমিন’ ছবির পোস্টার যেন কবিতা]
সুস্মিতার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সম্পর্কের কথা জানান ললিত মোদি। সেখানে সুস্মিতাকে ‘বেটার হাফ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তাঁর এই পোস্টের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, সুস্মিতাকে গোপনে বিয়েই করে ফেলেছেন ললিত মোদি। তবে গুঞ্জনে জল ঢেলে ললিত টুইটে লেখেন, ”ভালবাসা মানেই বিয়ে নয়। ভগবানের কৃপায় হয়তো সেটাও হবে। আমি শুধু সবাইকে জানাতে চাই, আমরা একসঙ্গে রয়েছি!”
ললিতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন সুস্মিতাও। দুই মেয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন তিনি লেখেন, “বিবাহিত নই, কোনও আংটি নেই…শুধু ভালবাসায় আবদ্ধ। অনেক সাফাই দেওয়া হয়েছে…এবার জীবন এবং কাজের মাঝে ফেরার পালা। প্রতিটা মুহূর্তে আমার আনন্দের সঙ্গী হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, আর যাঁরা তা হতে পারেননি এটা অবশ্য তাঁদের মাথা ঘামানোর বিষয় নয়। সবাইকে ভালবাসা। ” আরও একটি ছবি পোস্ট করেন সুস্মিতা। তাঁর ক্যাপশনে লেখেন, “আমাদের চারপাশের পৃথিবীটা কতটা শোচনীয় ও দুঃখবিলাসী হয়ে উঠছে তা দেখলে আমার মন ভেঙে যায়। এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও তাঁদের চিন্তাধারা…অশিক্ষিত মানুষগুলোর নিম্নরুচির গসিপ…এমন বন্ধু যাঁদের সঙ্গে আমার কখনও দেখা পর্যন্ত হয়নি… সবাই নিজেদের মহান মতামত জানাচ্ছে আর আমার জীবন ও চরিত্র নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছে। ‘গোল্ড ডিগার’ বলে সুবিধা আদায় করছে। এরা কিন্তু বেশ বুদ্ধিমান। আমি সোনার থেকে অনেক বেশি কিছু পেতে চাই। আর তাই সবসময় হীরে পছন্দ করি। আর হ্যাঁ, এখনও পর্যন্ত আমিই সেগুলো নিজের জন্য কিনি।”