সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের জম্মুর (Jammu) আকাশে উড়ল সন্দেহজনক ড্রোন (Drone)। হামলার আশঙ্কায় সতর্ক রয়েছে সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: লাফিয়ে বাড়ল দেশের দৈনিক Corona সংক্রমণ, একদিনে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল ১০ গুণ!]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার জম্মুর সাতওয়ারি এলাকায় দেখা মেলে ড্রোনের। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। সেনা সূত্রে খবর, নজরদারি চালাতে সীমান্তের অন্য দিক থেকে এসেছিল উড়ন্ত যানটি। এনিয়ে জম্মুতে ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলির পাশে বেশ কয়েকবার ড্রোনের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। চলতি মাসে কয়েকদিন আগেই সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) সফরের মধ্যেই ড্রোন আতঙ্ক ছড়ায় উপত্যকায়। সেনা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোন হানার নেপথ্যে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সীমান্তে ফৌজের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জম্মু গিয়েছিলেন জেনারেল রাওয়াত। সেখানে সেনার একাধিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন তিনি।
এদিকে, ড্রোন হানার নেপথ্যে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং। মঙ্গলবার তিনি জানান, জম্মুর বাযুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ‘নন স্টেট অ্যাক্টর’ অর্থাৎ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পাক অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি মদত দিচ্ছে। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে কাশ্মীরে জাল টাকা, হাতিয়ার ও বিস্ফোরক পৌঁছে দিতে ড্রোন ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদীরা। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে বোমা ফেলে পালায় দু’টি পাকিস্তানি ড্রোন। সীমান্তের ওপার থেকে এসে হামলা চলিয়েছিল যানগুলি বলে খবর। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতও সন্ত্রাস দমনে সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে। গত জুন মাসেই কাশ্মীরে লস্করের আরও এক কমান্ডার নাদিম আবরার-সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো আরও মজবুত করে এবার ১০টি ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ বা ড্রোন বিধ্বংসী হাতিয়ার কিনতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।