অর্ণব আইচ: আত্মহত্যা, খুন নাকি নিছকই দুর্ঘটনা? ই এম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটনে প্রাক্তন বিমানসেবিকার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। আবাসনের পাঁচতলা ফ্ল্যাটের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাক্তন বিমানসেবিকাকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। নিহত প্রাক্তন বিমানসেবিকার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
নিহত দেবপ্রিয়া বিশ্বাস বিমানসেবিকার কাজ করতেন। তিনি ২০১৯ সালে কাতার এয়ারওয়েজে চাকরি করতেন। লকডাউনের পর থেকে তিনি আর কোনও কাজ করছিলেন না। শনিবার বিকেলে দিদির ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, কাউকে কিছু না জানিয়ে পাঁচতলা আবাসনের ছাদে চলে যান দেবপ্রিয়া। তার কিছুক্ষণের মধ্যে কিছু নিচে পড়ে যাওয়ার শব্দ পান প্রত্যেকে। স্থানীয় যুবকরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। দেখেন ফ্ল্যাটের নিচে পড়ে রয়েছেন দেবপ্রিয়া। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক। সেই সময় প্রাক্তন বিমানসেবিকার হাতের মুঠোয় ছিল চাবির গোছা।
[আরও পড়ুন: SSC Scam: নিয়োগ দু্র্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের]
স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। যদিও অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেকক্ষণ সময় লাগিয়ে দেয় বলেই অভিযোগ। অ্যাম্বুল্যান্স আসার আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাক্তন বিমানসেবিকার মা। এরপর স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় প্রাক্তন বিমানসেবিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি ট্যাক্সিতে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ততক্ষণে যদিও সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে দেবপ্রিয়ার। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। দেবপ্রিয়া আত্মহত্যা করেছেন নাকি নিছক দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেবপ্রিয়ার পরিবারের লোকজন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় জট কাটবে বলেই মনে করছে পুলিশ।