গোবিন্দ রায়: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত বহু বিরোধী দলের কার্যকর্তা। নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী বিল্ব ভট্টাচার্য। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
এবার লোকসভা নির্বাচনে তেমন বড় কোনও অশান্তি হয়নি। সপ্তম দফার ভোটপর্ব শেষে সে কথা জানান খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর অশান্তির আশঙ্কা করেন। তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানো হয়। বিজেপির দাবি, ভোট শেষের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। গেরুয়া শিবিরের বেশ কয়েকজন ঘরছাড়া বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগে এর আগেই বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে আদালত।
[আরও পড়ুন: কার্বাইন বনাম সার্ভিস রিভলবার! রানিগঞ্জে ডাকাতদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ ‘দাবাং’ আইসির]
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, লোকসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলে সরাসরি রাজ্যের ডিজিকে ই-মেল মারফত অভিযোগ জানাতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি। ধর্তব্যযোগ্য বা আদালতগ্রাহ্য অপরাধ হলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজি স্থানীয় থানাকে উপযুক্ত ধারায় এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেবেন। এফআইআর দায়ের করার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে পুলিশ। রাজ্যে কটি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ এসেছে এবং কটি ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ এবং কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যের ডিজিকে। এছাড়া এফআইআর দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গে সেটা রাজ্য পুলিশের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। এফআইআর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন পড়লে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পদক্ষেপ করতে হবে। হাই কোর্টের এই নির্দেশিকার মাঝে এবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তার দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।