রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কার্যত দীর্ণ বঙ্গ বিজেপি (BJP)। ফের তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার, বিধানসভায়। কথা ছিল, এদিন দুপুরে বিধানসভায় আসবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করবেন। কিন্তু দেখা গেল, সুকান্তকে দলের বাকি বিধায়করা স্বাগত জানালেও অনুপস্থিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি বিধানসভা থেকে চলে গিয়েছেন। অর্থাৎ ফের উভয় উভয়ের সাক্ষাৎ এড়িয়ে গেলেন।
পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর ২ টো নাগাদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের আসার কথা ছিল বিধানসভায় (Assembly)। একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরোধিতার সুর বেঁধে দিতে পরিষদীয় দলকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সকলে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলোচনায় অংশ নিলেও ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগেই নাকি তিনি বিধানসভা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি অনুপস্থিত থাকবেন বলেও জানাননি। অর্থাৎ ন্যূনতম সৌজন্যটুকুও দেখাননি বিরোধী দলনেতা। দলের অন্দরের একাংশের মত, বিধানসভায় সুকান্ত মজুমদারকে এভাবে এড়িয়ে আসলে অপমানই করেছেন শুভেন্দু।
যদিও এ নিয়ে জল্পনার জল বেশিদূর গড়াতে দেননি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, শুভেন্দুর হাই কোর্টে যাওয়ার ব্যাপার ছিল। তাই তিনি ওই সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি। এতে কোনও জল্পনা নেই।
[আরও পড়ুন: ফের যুযুধান শুভেন্দু-অখিল গিরি, বিরোধী দলনেতাকে আইনি নোটিস পাঠালেন অখিলপুত্র]
তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি যাইই বলুন না কেন, বঙ্গ বিজেপি কিন্তু শাক দিয়ে মাছ আর ঢেকে রাখতে পারছে না। সোমবারই তা অত্যন্ত প্রকটভাবে প্রকাশ্যে এসেছিল। ওইদিন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির ‘অপমানজনক’ মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মতলার (Esplande) ওয়াই চ্যানেলের জমায়েতে বিরোধী দলনেতাকে এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্য সভাপতি। সভামঞ্চে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও মাঝপথ থেকেই তিনি ফিরে যান। অন্যদিকে, কলেজ স্কোয়্যারে দলীয় মিছিলে যোগ না দিয়ে বিধানসভা থেকে আলাদা মিছিল বের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কোনও কর্মসূচিতেই দু’জনকে একমঞ্চে দেখা যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সুকান্ত-শুভেন্দুর দ্বন্দ্ব কতটা প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন।