জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আরও একবার তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বনগাঁর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও জগদীপ ধনকড়ের মতো ভূমিকা ওঁর মধ্যে এখনও দেখিনি। চেয়ারে যিনিই থাকুন তাঁকে রাজ্যপালের মতো কাজ করতে হবে।” তাঁকে পালটা দিয়েছে তৃণমূলও।
এদিন বিকেলে শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন গোপালনগরের সনেকপুরে। সেখানে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অসীম সরকার-সহ বিজেপির একাধিক নেতা-কর্মী। তাঁদের উপস্থিতিতেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভের সুর শোনা যায় শুভেন্দু গলায়। তবে এটা নতুন নয়, এর আগেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী. তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকতে দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তাতে আমল দেয়নি গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিকে এদিন শুভেন্দু মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। বলেন ‘কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে ৷ ওরা দলীয় সংবিধান চাপানোর চেষ্টা করছে ৷ দেশের মানুষ এর জবাব দেবে।”
[আরও পড়ুন: জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের হেনস্তার জের, অপসারিত তিলজলা থানার ওসি]
প্রসঙ্গত, রামনবমীর সন্ধেয় হাওড়ার শিবপুরে অশান্তি নিয়ে রাজ্যে শাসক-বিরোধী তরজা চলছে। একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে অশান্তির তদন্তে নেমেছে সিআইডি। দু’টি এফআইআর দায়ের করে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের বিশেষ সেল নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। তবে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলার বদলে আনন্দ বোস বলেছিলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি হবে।’ পূর্বসূরির পথে না হেঁটে রাজ্যপাল সঠিক তথ্য খোঁজার পথে হাঁটতেই গাত্রদাহ শুভেন্দু অধিকারীর? উঠছে প্রশ্ন।