সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপশাসন’ ও ‘দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে আইএসএসএফের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল বিরোধী রামধনু জোটের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজেই বললেন, ডায়মন্ড হারবারের আইএসএফকে সমর্থনের প্রশ্ন নেই। আবার পরমুহূর্তে নিজেই নওশাদ ‘ভাই’য়ের লড়াইয়ের প্রশংসা করে গেলেন। বুঝিয়ে দিলেন, বিধানসভার অন্দরেও আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে বোঝাপড়া রয়েছে তাঁর।
গত কয়েক দিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ডায়মন্ড হারবারে লোকসভা কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী। জল্পনা শোনা যাচ্ছে, সরাসরি না হলেও পরোক্ষে ওই কেন্দ্রে নওশাদকে সমর্থন করতে পারে বিজেপি। তবে শুভেন্দু এদিন ওই ইস্যুতে খানিকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থান নিয়েছেন। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে মুখে বলেছেন, আইএসএফকে সমর্থনের প্রশ্ন নেই। আবার নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী তথা আইএসএফের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
[আরও পড়ুন: Cricket World Cup 2023: ইডেনে জাতীয় পতাকার অবমাননা! রেগে আগুন গাভাসকর, দেখুন ভিডিও]
এদিন বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “আইএসএফকে সমর্থনের প্রশ্ন নেই। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির প্রার্থী থাকবে। এবং জেতার জন্যই লড়বে। ওখানে আমাদের ভালো ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। আইএসএফের এজেন্ডা এবং বিজেপির এজেন্ডার কোনও মিল নেই। ওই কেন্দ্রে আইএসএফকে সমর্থনের কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা লড়ব, জেতার লক্ষ্যে লড়ব।”
[আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! কালীপুজো-ভাইফোঁটায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানাল হাওয়া অফিস]
আবার পরক্ষণেই শুভেন্দু বলেন, “একটা কথা বলতে পারি, আইএসএফের লড়াইটা আমি পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েতের পরে দেখেছি। ওরা সিপিএমের মতো, কংগ্রেসের মতো সেটিং করে আসেনি। বেঙ্গালুরু, মুম্বই, পাটনার সেটিংয়ের রাজনীতি করে না।” শুভেন্দুর বক্তব্য, “একটা লাইন না বললেই নয়। এটা বললে হয়তো ওদের বিজেপির বি টিম বলা হবে। সিপিএম এবং কংগ্রেসের যেমন দিল্লিতে তৃণমূলের সঙ্গে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি, সেই সেটিং আইএসএফের নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসনের বিরুদ্ধে নওশাদ ভাইয়ের লড়াইয়ে একটা নিষ্ঠা আছে। সেটা একজন বিধায়ক হিসাবেও বিধানসভায় দেখেছি। বিধানসভার অন্দরে ও যেভাবে মমতার অপশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে, নওশাদের সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই হবে।” অভিষেকের বিপক্ষে যিনি প্রার্থী হবেন, তাঁর লড়াইকে শুভেন্দু যেভাবে কুর্নিশ জানালেন, সেটা লোকসভার আগে তাৎপর্যপূর্ণ বইকি।