shono
Advertisement

বিজেপির চিন্তন বৈঠকে নেই শুভেন্দু, মঞ্চে ডাকা হল না লকেটকেও, দলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন

পিএমকে ভোট দিয়ে বিজেপির ভোট ভাগের চেষ্টা করছে তৃণমূল, অভিযোগ সুকান্তর।
Posted: 03:52 PM Mar 05, 2022Updated: 03:52 PM Mar 05, 2022

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির চিন্তন বৈঠকের শুরুতেই তাল কাটল। উপস্থিত হলেন না খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুরভোটে (West Bengal Civic Polls) ব্যর্থতার পর্যালোচনা নিয়ে আলোচনা অথচ বিরোধী দলনেতাই নেই! দলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

সূত্রের খবর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নাকি আগের দিন রাতেই জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আসতে পারবেন না। কিন্তু কেন শুভেন্দু এলেন না তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু শুভেন্দু নন, ভাটপাড়ার সাংসদ অর্জুন সিংও (Arjun Singh) বৈঠকের শুরুতে ছিলেন না। অনেক পরে তিনি বৈঠকে যোগ দেন। দীর্ঘদিন বাদে দলের রাজ্য নেতাদের বৈঠকে যোগ দিলেও অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee) এদিন মঞ্চে ডাকা হয়নি। লকেটকে বসতে হয় দর্শকাসনে। মঞ্চে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পল, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্যরা থাকলেও লকেটকে জায়গা দেওয়া হয়নি। আসলে এই বৈঠকের আগেই লকেট বিজেপি নেতৃত্বকে আত্মসমালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অনেকেই আন্দাজ করছিলেন এদিনের বৈঠকে লকেট বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন। সেকারণেই সম্ভবত লকেটকে ব্রাত্য করে রাখা হল।

[আরও পড়ুন: সংযুক্ত মোর্চার অস্তিত্ব নিয়ে একের পর এক তোপ, সদস্যদের সমালোচনায় সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব]

সুকান্ত মজুমদার অবশ্য এদিন দলের অন্দরে ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করেন। স্বাগত ভাষণে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলছেন, আজ সকলে মিলে আলোচনা করেই পথ নির্দেশ ঠিক করব। উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নেই। যারা এখানে বলার সুযোগ পাবেন না, তারা পরামর্শ লিখিতভাবে দেবেন। দল টিম ওয়ার্ক। উপরের নির্দেশ মেনে চলতে হয় পার্টিতে। সব সিদ্ধান্তই যে ঠিক হবে এমন কোনও বিষয় নেই। ওই ভাষণেই সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সিপিএমকে (CPIM) ভোট দিয়ে বিজেপির ভোট ভাগের চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিজেপি করলে আক্রমণ করা হচ্ছে। অথচ, সিপিএমের হয়েও ছাপ্পা করছে শাসক দল।”

[আরও পড়ুন: ‘প্রদেশ কংগ্রেসকে গুরুত্ব দেয় না হাইকমান্ড’, সোনিয়ার দূতের কাছে নালিশ অধীরদের]

সুকান্তর ওই নতুন ‘অজুহাত’ নিয়ে অবশ্য পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফেও। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, “নিজেদের দিকে তাকান। আত্মসমালোচনা করুন। যারা নিজেদের ওয়ার্ড, নিজেদের বুথ রক্ষা করতে পারে না, মানুষের ভোট নিতে পারেন না, মানুষের আশীর্বাদ পান না, তাঁরা চেয়ার রক্ষার জন্য এই ধরনের গল্প শোনাচ্ছেন। বিজেপি বাংলায় অপ্রাসঙ্গিক।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “বিজেপি (BJP) নেতারা কর্মীদের জবাব দিতে পারছেন না সুকান্তরা। প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত। তাই বস্তাপচা কথা বলছেন। জোটের গল্প সবাই জানে, বাস্তবে জোট আছে তৃণমূল ও বিজেপির।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement