গোবিন্দ রায়: কাঁথি পুরসভা থেকে সারদার ফাইল ‘উধাও’ মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্ত এড়াতে এবং সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত সরাতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরের আরজি জানিয়ে শুভেন্দুর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর দাবি, “যেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই সারদা মামলার তদন্ত করছে, সেখানে রাজ্য পুলিশ কী করে সমান্তরাল তদন্ত করতে পারে!” মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্টের পাশাপাশি, মামলার কেস ডায়েরি হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্যদিকে, সারদা কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতার ভূমিকা খতিয়ে দেখে, অবিলম্বে সিবিআই পদক্ষেপের আরজি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের দাবি, “সারদা ইস্যু নিয়ে একাধিক বার সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের মুখে বিস্ফোরক বক্তব্য শোনা যায়। কখনও নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে এসে শুভেন্দু অধিকারীকে কাঠগড়ায় তুলে মুখ খুলেছেন তিনি। কখনও, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে প্রিজনার্স পিটিশনে ওয়েলফেয়ার অফিসারের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে, কত টাকা আদায় করেছেন, তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। এমনকী, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে অনেক টাকা নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তা সত্ত্বেও সিবিআই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না কেন?”
[আরও পড়ুন: বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, চিঠি দিলেন মমতাকে]
যদিও শুভেন্দুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদাররা জানান, “সারদার ঘটনার নজরে আসার পর এক বছর পুলিশ তদন্ত করেছিল। তখন পুলিশি তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীর নাম আসেনি। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সিবিআই তদন্তের কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে সিবিআই ৭টি চার্জশিট পেশ করেছে। সেখানেও শুভেন্দুর নাম আসেনি।” আইনজীবীর দাবি, “এই চিঠি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এই জনস্বার্থ মামলাও সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
মামলায় সিবিআইয়ের দাবি, “জনস্বার্থ মামলার এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। যেখানে এখনও সিবিআই তদন্ত শেষ হয়নি। তাই এই ধরনের আবেদন আদালতে কখনওই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই আবেদন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”