সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবারই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা, পাওনা অর্থের খতিয়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে তুলে ধরেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক তার পরের দিনই রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে রাজ্য সরকার। মনরেগা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ যে অর্থ কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়, তা সঠিক খাতে ব্যবহার করে না রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রের তরফে দেওয়া অর্থের খতিয়ানও তুলে ধরে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন তিনি। একশ্রেণির বিডিও, সুপারভাইজাররা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলেও বোমা ফাটান শুভেন্দু। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করা হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, বাংলার মানুষকে ভাতে মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বাংলার উন্নতির পথে বাধা দেওয়ার চেষ্টাতেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরদিন রাজ্যকে আক্রমণ করে এহেন চিঠি শুভেন্দু। এমনটাই পালটা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: বাজিমাত তেজসের, ভারতের থেকে যুদ্ধবিমান কিনতে আগ্রহী খোদ আমেরিকা]
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন পালটা আক্রমণ করে বলে দেন, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) চিঠিতে রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আসলে মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাক্ষাতের পর যদি বকেয়া অর্থ রাজ্য পেয়ে যায়, তাহলে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়বে। যারা চায় না রাজ্যের উন্নতি হোক, তাদের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া যাবে। সেই কারণেই এ ধরনের অভিযোগ তুলে রাজ্যের উন্নতির পথ স্লথ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার বৈঠকের পর জানা যায়, হিসেবনিকেশ বোঝাতেই দিল্লি গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে তিন পাতার চিঠিতে রাজ্যের বকেয়া সমস্ত হিসেব বিস্তারিতভাবে দেন তিনি। কোভিড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিলিয়ে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটিরও বেশি। সেই খতিয়ান তুলে ধরার পরদিনই মোদিকে পালটা চিঠি শুভেন্দুর।