সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্যমাত্রা ২০১৯-র অক্টোবর৷ ওই সময়ের মধ্যে ভারতের সর্বত্র শৌচালয় নির্মাণ করতে পারলেই ঠেকানো সম্ভব ডায়েরিয়া ও অপুষ্টিজনিত কারণে প্রাণহানি৷ এভাবেই বাঁচতে পারে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের জীবন৷ ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’ বা ‘হু’-র রিপোর্টে উঠে এসেছে এমন তথ্য৷ ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’-র আশা ভারত জুড়ে সব ধরনের পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচির ব্যবস্থা যদি সফল হয়৷ সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়, তবে ১৪ লক্ষ বছর সুস্থ জীবনযাপন করাও সম্ভব৷
[জমা পড়েনি আবেনপত্র, নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম]
চলতি অর্থবর্ষে স্বচ্ছ ভারত মিশনে গ্রামের শৌচালয়গুলিকে আরও উন্নত করতে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে৷ শুধুমাত্র ভারতেই নয়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-সহ সমগ্র বিশ্বে এই সমস্যা রয়েছে৷ বিশুদ্ধ জল ও উপযুক্ত শৌচালয়ের অভাবে যে পাঁচটি রোগ সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারান তার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডায়েরিয়া৷ ভারত যে উদ্দেশ্য নিয়ে এগোচ্ছে তার প্রভাব উল্লেখযোগ্য বলেও ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে৷ এই উদ্যোগের মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত রোগ থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের সমাধান হতে পারে৷
[কেন্দ্রের নয়া উপহার, ২ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে স্মার্থফোন ও ট্যাবলেট প্রদান]
২০১৪ সালে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আগে বছরে প্রায় ১৯৯ লক্ষ মানুষ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হন৷ ভারতে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করার পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বাড়িতে শৌচাগার ব্যবহার করার পরিমাণ ২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশ৷ ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’-র রিপোর্ট বলছে, শৌচাগার তৈরির জেরে শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে৷
[শহিদ স্মৃতিতে শ্রদ্ধা, কানওয়ার যাত্রায় ৩৬১ ফুটের তেরঙ্গা নিয়ে হাঁটলেন ৩৫ জন যুবক]
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের অন্তর্গত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, কোরিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া৷ ‘হু’-র রিপোর্ট অনুযায়ী, পানীয় জল ও শৌচালয়ের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা গ্রহণ করতে সচেতন করতে হবে সাধারণ মানুষকে৷ উন্নয়নের লক্ষ্যে সমস্ত দেশের মানুষকে এই কাজে অংশ নিতে হবে৷
[পরীক্ষার হলে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় পরীক্ষক]
The post চিকিৎসক বা ওষুধপত্র নয়, পরিষ্কার শৌচালয়ই রুখতে পারে প্রাণহানি appeared first on Sangbad Pratidin.