সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখন টলিউডের ব্যস্ত নায়িকা স্বস্তিকা দত্ত। রাস্তার বের হলে ভক্তদের আবদারে টুকটাক উঠতেই থাকে সেলফি। তাই ছোটবেলার মতো উত্তর-দক্ষিণ কলকাতার প্যান্ডেলে হপিং আর হয় না। তবে পুজো এলেই ছোটবেলার কথা মনে পড়তে বাধ্য স্বস্তিকার। তবে এবারের পুজোটা অন্যবারের থেকে আরও আলাদা। কেননা, শহর জুড়ে এখন অভয়ার সুবিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চলছে। তারই মাঝে পুজোর জন্য সাজছে কলকাতা। এমন পরিস্থিতিতে পুজো নিয়ে কী ভাবছেন অভিনেত্রী?
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে স্বস্তিকা জানালেন, ''ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে বের হতাম। কিন্তু এখন তো পাখনা একটু বেশি গজিয়েছে। একটু বড় হয়েছি তো! ছোটবেলায় আম্মা, দাদু, মা-বাবার সঙ্গে পুজো কাটত। দুদিন উত্তর কলকাতা, আর বাকি দুদিন দক্ষিণ কলকাতা। তখন তো বিচারক হওয়ার সুযোগ থাকত না, সেলফি তোলার জন্যও কেউ এগিয়ে আসত না। বলা যায়, আমার পুজোয় কারও, কোনও হস্তক্ষেপ থাকত না। সেটা মিস করি। কিন্তু এখন সেটা সম্ভব হয় না। এখন আমি পাবলিক এন্টারটেনার। দর্শকরা যাকে পর্দায় দেখেন, তাঁকে নিজের পাশে, প্যান্ডেলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে উত্তেজনা তো হবেই। সেটাই স্বাভাবিক। এখন নিয়ম মেনে চারটে দিন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা হয় না। যেরকম ছোটবেলায় হত।
[আরও পড়ুন: জন্মের পরই দীপিকার মেয়ের সঙ্গে জড়াল রণবীর কাপুরের নাম, কীভাবে?]
পাড়ার প্যান্ডেলে অষ্টমীর অঞ্জলি?
স্বস্তিকা জানালেন, ''প্রতিবছরই সপ্তমীতে আমার লাস্ট ওয়ার্কিং ডে থাকে। একদিন আমি মা-বাবার সঙ্গে বের হই। একদিন নিজে বের হই। একটা দিন পুরোটাই বিশ্রামে থাকি। আসলে সপ্তমী অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করে, অষ্টমীর দিন সকালে আমার একেবারেই চোখটা খোলে না। আমার মনে হয়, ঠাকুরকে ফুল ছুড়ে দিলাম মানেই, ঠাকুর আমাকে আশীর্বাদ দেবেন, তা নয়। সারা বছরই মা দুর্গাকে মনের মধ্যে রাখি। এখন তো রোজই মা দুর্গাকে মনে করি। কেননা, যা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা, মনে হচ্ছে একমাত্র মা দুর্গাই ন্যায় দিতে পারে।'' আর জি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে স্বস্তিকা বলেন, ''মা দুর্গারও মন খারাপ। আমাদেরও মন খারাপ। মা তো বলেই দিয়েছে এবার পুজোয় কোনও কেনাকাটি হবে না। আমার এমনিতেও পুজোতে কেটাকাটি হয় না। সারাটা বছর কেনাকাটা চলতেই থাকে। তবে এবার সত্যিই নতুন জামা পরার ইচ্ছে নেই। মা দুর্গাকে একটা কথাই বলব, মা তুমি আসছো ঠিকই। কিন্তু যে মেয়েটির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁকে ন্যায়বিচার দিয়েই তুমি ফিরে যেও।''
[আরও পড়ুন: ‘মানুষ হিসেবে গর্ব বোধ করব না ঘৃণা…’, সুপ্রিম শুনানির পর RG Kar প্রসঙ্গে অঙ্কুশ]