সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া সফরে এসে একাধিকবার কোভিডবিধি ভেঙেছে ভারতীয় দল। টিম ইন্ডিয়াকে (Team India) মানসিক চাপে ফেলতে গত কয়েকদিনে এই প্রসঙ্গ নিয়েই সরব হয়েছিল অজি সংবাদমাধ্যম। এমনকী প্রায় এক মাস আগে ডিসেম্বরের শুরুতে নাকি একটি দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়ে নিয়মভঙ্গ করেছেন খোদ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)! সেই খবরও প্রকাশিত হয়। তবে এই ঘটনাকে শুরু থেকেই গুরুত্ব দেয়নি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এবার ওই দোকানের মালিকও জানিয়ে দিলেন, কোনও নিয়মই ভঙ্গ করেননি কোহলিরা। সেসময় কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মই মেনে চলেছেন দুই ক্রিকেটার। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তিনি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে বন্ডি জংশনে অবস্থিত ‘বেবি ভিলেজ’ নামে দোকানের মালিক নাথান পংগ্রাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর দোকানেই ৭ ডিসেম্বর কেনাকেটা করতে গিয়েছিলেন কিং কোহলি এবং পাণ্ডিয়া। পংগ্রাস জানান, বিরাটরা তাঁদের দোকানে এসে খুবই ভাল ব্যবহার করেছেন। কোনওরকম কোভিডবিধিও ভাঙেননি তাঁরা। দোকানে সামাজিক বিধিও মেনে চলেন। শুধু তাই নয় এটাও বলেন, কোহলিদের যাওয়ার অনেক পরে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নিউ সাউথ ওয়েলসে মাস্ক পরার ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হয়। তাঁর কথায়, ‘‘বিরাট এবং হার্দিক এখানে এসেছিলেন। দোকানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। সেই সময় নিউ সাউথ ওয়েলসে সেরকম কোনও বিধি নিষেধ ছিল না। আমরা তো তাঁদের উপহারও দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা সব জিনিসেরই দাম মিটিয়ে দেন। এছাড়া আমাদের কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা কথাও বলেন।’’ এমনকী ছবি তোলার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পরিবারের লোক এবং আপনজনদের দেখানোর জন্যই আমরা ছবি তুলেছিলাম। তবে কারওর সঙ্গেই করমর্দন করেননি বিরাটরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই দু’জনে কেনাকাটা করেন। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যা হচ্ছে, তা খুবই লজ্জাজনক।’’
[আরও পড়ুন: সিডনি টেস্টের জন্য প্রথম একাদশ ঘোষণা করল ভারত, দলে দুটি পরিবর্তন]
তবে এদিক থেকে রেহাই পেলেও আরও একবার স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে নাম জড়াল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির। ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম মোবাইল প্রিমিয়ার লিগে (Mobile Premier League) বিনিয়োগ করেছিলেন। বর্তমানে সেই MPL টিম ইন্ডিয়ার কিট স্পনসর। আর তাই ক্যাপ্টেন কোহলির নাম জড়াল স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে। জানা গিয়েছে, Galactus Funware Technology Private Limited নামে এক সংস্থার তরফে বিরাট কোহলিকে ৩২ লক্ষ টাকার ‘CCD’ দেওয়া হয়েছিল। আর এই সংস্থাই আবার MPL–এর মালিক। যাদের সঙ্গে ২০২০ সালের নভেম্বরেই বোর্ডের চুক্তি হয়েছে। ভারতের পুরুষ, মহিলা এবং অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেট দলের কিট স্পনসর তারা। সেকারণেই আবারও উঠে এল বিরাট কোহলির নাম। যদিও বিরাট বা বোর্ডের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানানো হয়নি।