কৃশানু মজুমদার: তিনি পাঁচবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। তিনটি কমনওয়েল্থ গেমসে পদক জয়ী। সাউথ-এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তিনি অর্জুন। প্রায় ২০ বছরের কেরিয়ারে বহু পুরস্কার, বহু সম্মান পেয়েছেন। ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারির প্রাক্কালে বাংলার টেবিল টেনিসের ইতিহাসে এক অনন্য ইতিহাস রচনা করলেন তিনি। কে তিনি? তিনি বাংলার ‘সোনার মেয়ে’ মৌমা দাস। টেবিল টেনিসে দেশের দ্বিতীয় এবং বাংলার টেবিল টেনিসের (Table Tennis) প্রথম ব্য়ক্তিত্ব হিসেবে পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন পাঁচবারের জাতীয় চ্য়াম্পিয়ন।
পদ্ম পুরস্কার ঘোষণার খবরটা শুনে আপ্লুত হয়ে পড়েন মৌমা। আগের মতো মৌমার কাছে এখনও দেশের জন্য পদক জয়ই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। ফোনের ওপার থেকে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-কে তিনি বলেন, “দারুণ লাগছে। এই মুহূর্তটা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। দেশকে পদক এনে দিতে পারলেই তো ভাল লাগে। আর এই সম্মানটা আগামিদিনে আরও ভাল খেলতে আরও পদক জিততে মোটিভেট করবে।”
[আরও পড়ুন: কাঁচা মাংস খেতেন মারাদোনা? একান্ত সাক্ষাৎকারে স্মৃতির পাতা ওলটালেন এককালের সতীর্থ বুরুচাগা]
আরও আগে পদ্ম সম্মান কি পেতে পারতেন? একটু কি দেরিই হয়ে গেল? মৌমার (Mouma Das) মনে কোনও আক্ষেপ নেই। বরং তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, অর্জুন পুরস্কারের সময়ও তাঁর এমনটা মনে হয়নি। এবারও নয়। বরং দেশকে গর্বিত করাটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে পদ্ম সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর টেবিল টেনিস তারকা শরৎ কমল। দেশের দ্বিতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এই সম্মান পেলেন মৌমা। তাঁর আশা, এই সম্মানই টেবিল টেনিসকে আরও পরিচিতি দেবে। উঠতি খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
মৌমার পাশাপাশি খেলার দুনিয়ার আরও ছ’জনের নাম রয়েছে পদ্ম সম্মান প্রাপকের তালিকায়। তাঁরা হলেন, পি অনিথা, মাধবন নম্বিয়ার, সুধা হরিনারায়ণ সিং, বিরেন্দর সিং, অংশু জামসেনপা এবং কে ওয়াই ভেঙ্কটেশ।