shono
Advertisement

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ত্বহা সিদ্দিকির, ভোটের আগেই ফুরফুরা যাবেন মমতা!

ভোটের মুখে মমতা-ত্বহা সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
Posted: 09:01 AM Feb 26, 2021Updated: 10:49 AM Feb 26, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগে প্রার্থনা করতে ফুরফুরা শরিফ যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর একথা জানিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি (Twaha Siddiqui)। গতকাল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা হয় ত্বহার। ভোটের মুখে ফুরফুরা শরিফের এই পিরজাদার মমতা-সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

আগামী ৬,৭ ও ৮ মার্চ ৩ দিন ফুরফুরা শরিফে (Furfura Sharif) ধর্মসভা অর্থাৎ উরস উৎসব রয়েছে। সেই উরস উতসবে মমতাকে আমন্ত্রণ জানাতেই গতকাল নবান্নে এসেছিলেন ত্বহা সিদ্দিকি। আধ ঘণ্টার বেশি সময় কথা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলেই দাবি ফুরফুরার পিরজাদার। তিনি জানিয়েছেন, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুধুমাত্র ওই ধর্মসভা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ওই তিন দিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় ফুরফুরা শরিফে। তাই ধর্মসভার প্রস্তুতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। ত্বহার দাবি, ওই উরস উৎসব চলাকালীনই ফুরফুরায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন মমতা। যদি সেটা সম্ভব নাও হয়, ভোটের আগে তিনি একবার অন্তত প্রার্থনা করতে ফুরফুরা যাবেন। এ বিষয়ে তিনি ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত বলেও দাবি করেছেন পিরজাদা।

[আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে জারি প্রতিবাদ, ই-স্কুটারে চালকের আসনে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী!]

ভোটের মুখে ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে মমতার এই সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ফুরফুরা শরিফ দক্ষিণবঙ্গের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। দক্ষিণবঙ্গের সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশকে প্রভাবিত করে এই ফুরফুরা শরিফ। তাই ভোটের আগে সব দলই ফুরফুরার দ্বারস্থ হয়। এমনকী, বামেরাও ফুরফুরার সংস্পর্শ এড়ায় না। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে ফুরফুরার রাজনৈতিক সমর্থন মূলত তৃণমূলের (TMC) সঙ্গেই আছে। ত্বহা নিজেও একাধিকবার মমতাকে সমর্থনের কথা বলেছেন। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি আলাদা। ফুরফুরারই আরেক পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui) আবার নতুন দল খুলে বসেছেন। সেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট আবার বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও আলোচনা করছে। এই পরিস্থিতিতে ত্বহাকে কাছে টেনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিজেদের অনুকূলে রাখার চেষ্টা আরও জোরাল করার চেষ্টা করতে পারে শাসকদল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement