সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban Terror) আছে তালিবানেই! মুখে যতই দাবি করুক, তারা বদলে গিয়েছে। কার্যক্ষেত্রে তার কোনও প্রমাণই মিলছে না। এবার হেলমন্দ (Helmand) প্রদেশে নয়া ফতোয়া জারি করল তালিবান। জানিয়ে দিল, দাড়ি কাটা চলবে না। জেহাদিদের মতে, দাড়ি কাটা আদপে আ্রমেরিকাকে নকল করা। এবার এই কায়দা ছাড়তে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তালিবান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, হেলমন্দ প্রদেশের নাপিত এবং স্যালোঁগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দাড়ি কাটা বা ছাঁটা ইসলাম বিরোধী। তাই কেউ দাড়ি কাটতে বা ছাঁটতে এলে তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় শাস্তির মুখে পড়তে হবে নাপিতদের। একই ধরনের নির্দেশিকা জারি হয়েছে কাবুলেও (Kabul)।
[আরও পড়ুন: দেড় দশকের শাসনের অবসান, জার্মানির নির্বাচনে পরাজিত অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের দল]
ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হেলমন্দ (Helmand) প্রদেশে সেলুন এবং স্যালোঁর সামনে নোটিশ টাঙিয়েছে তালিবান। তাতে বলা হয়েছে, যে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তা মানতেই হবে। অভিযোগ জানানোর কোনও অধিকার নেই। সকলে ফতোয়া মানছে কিনা তা জানতে তালিবানের গুপ্তচরদেরও আমজনতা সাজিয়ে নাপিতদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। নিয়ম না মানলেই নাপিতদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করছে জেহাদিরা। শহরের নাপিতদের ডেকে পাঠিয়ে তালিবান নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকার কায়দা মেনে চলা যাবে না। পাশ্চাত্য নিয়ম কানুন মানার অভ্যেস বদলাতে হবে।
নয়ের দশকে তালিবান শাসনকালে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর উন্নততর শাসনের আশ্বাস দিয়েছিল সেই জেহাদি গোষ্ঠী। জানিয়েছিল, বদলে যাওয়া তালিবান শাসন দেখবে গোটা বিশ্ব। কিন্তু কোথায় কী? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পুরনো মদই নতুন বোতলে সামনে এনেছে তারা। একের পর এক ঘটনায় তারই প্রমাণ মিলছে।