সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছরের মধ্যেই ভারতের উপর নেমে আসবে আক্রমণ। চিন, পাকিস্তান ও তালিবানের মিলিত হানাদার বাহিনী চালাবে সেই আক্রমণ। উদ্বেগ উসকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: আতঙ্কিত আফগানভূম, প্রাণ বাঁচাতে নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন কান্দাহারের পুলিশ প্রধান]
গত রবিবার তালিবানের হাতে কাবুলের পতন হতেই উদ্বেগের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মহলে। বিগত দুই দশকে আফগানিস্তান ভারতের অন্যতম মিত্র দেশ হয়ে ওঠেছিল। ফলে সেদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ অনেকটাই হ্রাস পায়। স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর কাবুলের মসনদে বসেছে পাকিস্তান ঘনিষ্ট তালিবান। কাবুলে প্রবেশ করেছে লস্কর, জইশের মতো ভারতবিরোধী জেহাদি দল। এহেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিজেপির রাজ্যসভা সংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতে হামলা চালাবে তালিবান।
টুইটারে স্বামী লেখেন, প্রথম বছর যারা অপেক্ষাকৃত কম উগ্র তাদের সরকারের মুখ করা হবে। একইসময়ে, প্রাদেশিক রাজধানীগুলিতে উগ্র তালিবান নেতাদের শাসন কায়েম করা হবে। তার একবছর পর আফগানিস্তানে শিকড় মজবুত করে তালিবান, চিন ও পাকিস্তান ভারতে হামলা চালাবে।
উল্লেখ্য, স্বামীর আশঙ্কা যে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয় তা মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ, হাক্কানি নেটওয়ার্ক, জইশ, লস্করের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে এবার কাশ্মীরে পাঠাতে শুরু করবে পাকিস্তান। আর ওই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হবে আফগানিস্তানে। আর এসব রুখতে সমস্ত তালিবান বিরোধী সমস্ত শক্তিতে মদত দিয়ে ভারতে ‘নির্বাসিত আফগান সরকার’ গঠনের আবেদন জানিয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এদিকে, সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তালিবান। তালিবানি সরকার গঠন হলে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে বর্তমানে ভারত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিয়েছে। তবে সাউথ ব্লকে উদ্বেগ যে চরমে তা স্পষ্ট।