সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের যুদ্ধের 'সমাপ্তি'! আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরতেই গোটা দেশ দখলে তালিবানের (Taliban)। এবার চলছে সরকার গঠনের তোড়জোড়। তবে এটাই যেন এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তালিবদের। কে কে থাকবেন তালিবানের নয়া সরকারে? এই নিয়েই এখন দোটানায় তারা। আর তাই আরও পিছিয়ে গেল তালিবানের সরকার গঠনের প্রক্রিয়া। আগামী সপ্তাহে আফগানিস্তানের (Afghanistan) নতুন সরকার গঠিত হবে। এমনটাই ঘোষণা তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের। তার কথায়, "নতুন সরকার এবং মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহে হবে।" তবে এর বেশি কিছু জানাতে চায়নি সে।
শুধু নিজেদের দেশে নয়, গোটা বিশ্ব যাতে নয়া তালিবান সরকারকে মেনে নেয়, সেটাই এখন লক্ষ্য তালিবানের। এছাড়া ঠিক হয়েছে, নয়া সরকারে থাকবে বিভিন্ন মহলের লোকজনই। আর তাই কিছুটা সময় নিয়েই সরকার গঠন করতে চাইছে তালিবরা। তাই সেকারণেই মূলত দ্বিতীয়বারের জন্য পিছিয়ে গেল সরকার গঠনের প্রক্রিয়া।
[আরও পড়ুন: নজরে তালিবান! এবার কাজাখস্তানের মাটিতে শক্তিপ্রদর্শন ভারতীয় ফৌজের]
সূত্রের খবর, তালিবানের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বরাদরই (Mullah Baradar) সম্ভবত নেতৃত্ব দেবে নতুন তালিবান সরকারের। আপাতত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তালিবান নেতারাই কান্দহারে হাজির হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনাও। মোল্লা বরাদর ছাড়াও তালিবান সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকবে মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব ও শের মহম্মদ আব্বাসের মতো আরও অনেকে। তবে বরাদরের পাশাপাশি আলোচনায় রয়েছে আখুন্দজাদাও। অন্য একটি সূত্রের দাবি, ইরানের ধাঁচে সরকার গড়বে তালিবান। আর সেই সরকারের নেতৃত্বে থাকবে প্রবীণ ওই নেতা।
এদিকে নতুন সরকার গঠনের আগেই তালিবান সংসারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নিয়ে হাক্কানি (Haqqani) গোষ্ঠী এবং কান্দাহারের মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যা সরকার গঠনের আগেই অস্বস্তিতে ফেলেছে তালিবানকে। তালিবানের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠী। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু হাক্কানি গোষ্ঠী সেখানে নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
[আরও পড়ুন: ডুবছে পাকিস্তান! ইমরানের আমলে বহুগুণ বেড়েছে ঋণের বোঝা, জানাল পাক স্টেট ব্যাংক]
শুধু হাক্কানি বা ইয়াকুব গোষ্ঠীই নয়, একে একে তালিবানের অন্য গোষ্ঠীগুলিও নিজেদের অধিকার নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে তালিবানের শীর্ষনেতারা। যদিও বুধবার রাতের বৈঠকের পরে তালিবানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইসলামিক নেতাদের প্রাধান্য আফগানিস্তানে সরকার তৈরি করবে তারা। তবে তখনই মন্ত্রিসভা সম্পর্কে বিশদে কিছু জানায়নি তারা। যা এবার আগামী সপ্তাহেই জানা যাবে। গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। এদিকে সোমবারই পুরোপুরি আফগানিস্তান ছাড়ে মার্কিন সেনা। এবার নতুন সরকার গঠনের পথে জেহাদিরা।