সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) পালাবদল হতেই শুরু হয়েছে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র। আর এসবের নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এবার বিশ্লেষকদের আশঙ্কা সত্যি করে ভারতীয় দূতাবাসে হানা দিল তালিবান (Taliban) জঙ্গিরা।
জানা গিয়েছে, বুধবার কান্দাহার ও হেরাতের ভারতীয় কনসুলেটগুলিতে তল্লাশি চালায় তালেবরা। ওই দূতাবাসগুলির দপ্তরে ঢুকে আলমারি তছনছ করে কাগজপত্রের সন্ধান করে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, দূতাবাসগুলিতে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি জঙ্গিরা নিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের উসকানিতেই এই হানা দিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। সেদেশে ভারতের কার্যকলাপ ও পরিকল্পনার হদিশ পেতেই এই তল্লাশি অভিযান তালিবানের বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: পাক জেল থেকে মুক্ত শীর্ষনেতা, ঠাঁই মিলবে নয়া Taliban শিবিরে?]
এদিকে, রাজধানী কাবুলের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে তালিবান জঙ্গিরা। তাদের উদ্দেশ্য মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছিলেন সেই আফগান নাগরিকদের খুঁজে বের করা। এছাড়া, মার্কিন মদতপুষ্ট আশরফ ঘানি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটি’-র কর্মীদের হন্যে হয়ে খুঁজছে জেহাদিরা। ফলে মুখে সবাইকে ক্ষমা করার কথা বললেও বাস্তবে ঠিক তার উলটো পথেই হাঁটছে তালিবান। তা তাদের কাজেই স্পষ্ট। তাছাড়া, বিগত দুই দশকে আফগানিস্তান ভারতের অন্যতম মিত্র দেশ হয়ে উঠেছিল। সেদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ অনেকটাই হ্রাস পায়। স্বাভাবিকভাবেই এতে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর কাবুলের মসনদে বসেছে পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ তালিবান। কাবুলে প্রবেশ করেছে লস্কর, জইশের মতো ভারতবিরোধী জেহাদি দল।
বলে রাখা ভাল, কাবুলের দূতাবাস ছাড়া আফগানিস্তানে চারটি কনসুলেট রয়েছে ভারতের। সেগুলি হল, কান্দাহার, হেরাত, মাজার-ই-শরিফ ও জালালাবাদ। কাবুলের পতনের আগেই কান্দাহার, হেরাত ও জালালাবাদের কনসুলেট থেকে কর্মীদের ফিরিয়ে আনে ভারত। চলতি সপ্তাহে আশরফ ঘানি সরকারের পতন হওয়ার পর কাবুল থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি সি-১৭ বিমানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের ফিরিয়ে আনা হয়।