shono
Advertisement
Columbia University

'সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টাও কাজ করেছি, তবু বিশ্বাসঘাতকতা', ভিসা বাতিলে বিশ্ববিদ্যালয়কেই দুষলেন রঞ্জিনী

হামাসকে সমর্থনের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলে ভারতীয় ছাত্রীর ভিসা প্রত্যাহার করেছে মার্কিন প্রশাসন।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 09:09 AM Mar 28, 2025Updated: 09:14 AM Mar 28, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিশ্রম, মেধার জোরে সুদূর বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাফল্যের একেকটা ধাপ পেরিয়ে শীর্ষে পৌঁছনো থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে এসেই যেন থমকে গেল সমস্ত স্বপ্ন! সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সহমর্মিতার মতো গুরুতর অভিযোগ তুলে মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় ছাত্রী রঞ্জিনী শ্রীনিবাসনের। তবে 'ঘাড়ধাক্কা' নয়, ভিসা বাতিল হওয়ার পর নিজেই আমেরিকা ছেড়েছিলেন রঞ্জিনী। এত অধ্যবসায়ের সঙ্গে নিজের কাজ করার পরও এই কি ছিল তাঁর প্রাপ্য? গবেষণার শেষ স্তরে এমন 'দুর্ঘটনা'য় নিয়ে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কেই 'বিশ্বাসঘাতক' বললেন রঞ্জিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের দুর্গতির কথা শুনিয়েছেন তিনি।

Advertisement

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট স্কলার অর্থাৎ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সুবিধাপ্রাপ্ত গবেষক ছিলেন রঞ্জিনী। একাধারে গবেষণার কাজ এবং নিজের বিষয়ে পড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। রঞ্জিনীর দাবি, পাঁচ বছর ধরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। কাজও করেছেন ঢের। কখনও সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টাও কাজ করেছেন। তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিল! তা ভেবে কার্যত ভেঙে পড়ছেন রঞ্জিনী। ক্ষোভে-দুঃখে তিনি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কেই 'বিশ্বাসঘাতক' তকমা দিচ্ছেন। রঞ্জিনীর কথায়, ''আমার পিএইচডি-র সমস্ত কাজ হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে, তার জন্য আমেরিকায় থাকারও দরকার হবে না। তাই যখন ভিসা বাতিল হল, তখন ভাবলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আলাদা করে আবেদন করি। কিন্তু তাতেও কাজ হল না।''

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে। হাতে-পায়ে শিকল বেঁধে সেনা বিমানে তাঁদের পাঠানো হয়। তবে রঞ্জিনীর বিষয়টা তেমন নয়। ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধবিরোধী মিছিলে অংশ নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েন রঞ্জিনী। তাঁকে হামাস সমর্থক বলে চিহ্নিত করা হয়। এরপরই ভিসা বাতিল হয় তাঁর। তাতেও অবশ্য দমে যাননি ভারতীয় ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আলাদা করে আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে পিএইচডি-র কাজ শেষ করতে দেওয়া হয়। তাও খারিজ হয়েছে। আর তাতেই মন ভেঙে গিয়েছে রঞ্জিনীর। গবেষণার কাজ শেষ না করে ফিরে আসার চেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আচরণ তাঁর কাছে বেশি ধাক্কা, এমনই জানিয়েছেন ভারতের মেধাবী ছাত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে 'বিশ্বাসঘাতক' বললেন ভারতীয় ছাত্রী রঞ্জিনী শ্রীনিবাসন।
  • হামাস সমর্থনের অভিযোগ তুলে ভিসা বাতিলে কার্যত হতাশ তিনি।
  • জানাচ্ছেন, সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টাও করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে এই আচরণ আশা করেননি।
Advertisement