সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে চলছে আলোচনা। এর মাঝেই শুক্রবার রাতে সেনা ছাউনিতে হামলা চালাল তালিবান জঙ্গিরা। সেই হানায় প্রাণ গেল ২০ সেনা জওয়ানের। দু’জন জওয়ানকে বন্দি করে নিয়ে গিয়েছে তারা। লুঠ হয়েছে প্রচুর গোলা-বারুদও।
আফগানিস্তানের টোলো নিউজ সূত্রে খবর, রাত দুটো নাগাদ শাখ-ই-বালা-কাস্ক এলাকার সেনা ছাউনিতে অতর্কিতে হামলা চালায় তালিবান জঙ্গিরা। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল গুলির লড়াই হয়। ২০ জন আফগান সেনা জওয়ানের পাশাপাশি খতম হয় ১২ তালিবান জঙ্গিও।
[আরও পড়ুন : এবারও সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ ইমরান খানের দেশ, FATF-এর ধূসর তালিকাতেই রইল পাকিস্তান]
ফারহা প্রদেশের সরকারি আধিকারিক দাদুল্লাহ কোয়ানি জানান, সোরে শামলা এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ চলছিল। সেই সংঘর্ষ সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। সেই সুয়োগে সেনা ছাউনিতে হামলা করে তালিবান জঙ্গিরা। হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত আফগানিস্তান। দেশে শান্তি ফেরাতে সেপ্টেম্বর মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় আফগানিস্তানের সরকার ও তালিবানের মধ্যে শান্তি আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এর ফলে পাহাড়ি দেশটিতে ফের একবার বন্দুকের গর্জন থামবে বলে আশা জেগেছিল সাধারণ মানুষের মনে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে প্রাথমিকভাবে কাবুলের সরকারি প্রতিনিধি ও তালিবান (Taliban) নেতৃত্বের মধ্যে মুখোমুখি কোনও আলোচনাই হয়নি। ফলে থমকে গিয়েছিল গোটা শান্তি প্রক্রিয়া। যদিও পরে সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মাঝেই একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী থেকেছে আফগানিস্তান।
[আরও পড়ুন : ‘ভারতকে দেখুন, কী নোংরা!’ জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে ভারতের সমালোচনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, আলোচনা চলাকারীন মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ৩৪ জন আফগান জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এই হামলায় মৃতদের নাম যোগ করা হলে সংখ্যাটা ৫০-এর বেশি হয়ে যাবে। এদিকে তালিবানদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে আলকায়দা সন্ত্রাসবাদিরা, এ নিয়ে আগেভাগেই সতর্ক করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আমেরিকাকে প্রতিশ্রুতি দিলেও সম্পর্ক ছিন্ন করার বদলে আল কায়দা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরির সঙ্গে সম্প্রতি শীর্ষ তালিবান নেতারা দেখা করেছে বলেই দাবি রাষ্ট্রসংঘ (UN) -এর এক সিনিয়র আধিকারিক।