সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী জড়িয়েছেন পরকীয়ায়। এই সন্দেহে স্ত্রী রাগের চোটে গরম জল ঢেলে দিলেন স্বামীর গোপনাঙ্গে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল তামিলনাড়ু (Tamil Nadu)। হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তাঁর পুরুষাঙ্গটি ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঠিক কী হয়েছিল? রাজ্যের পুদুপুত্তুর বাসিন্দা ৩২ বছরের থঙ্গরাজের সঙ্গে সাত বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ২৯ বছরের প্রিয়ার। তাঁদের দু’টি মেয়ে আছে। থঙ্গরাজ একটি মোবাইলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় সুপারভাইজারের কাজ করতেন। প্রিয়ার সন্দেহ ছিল তাঁর স্বামী অফিসের কোনও একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন।
[আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় সহবাস করে ধর্ষণের মামলা করা যায় না, যৌন নির্যাতন মামলায় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের]
আর এখান থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। যত সময় যাচ্ছিল ততই প্রিয়া ও থঙ্গরাজের বচসা প্রবল আকার নিচ্ছিল। সেই ঝগড়াই চরম আকার নেয় গত মঙ্গলবার রাতে। খানিক পরে থঙ্গরাজ শুতে চলে যান। কিন্তু প্রিয়া কার্যত ফুঁসছিলেন।
ঘুমের মধ্যেই থঙ্গরাজ টের পান তাঁর শরীরে আগুন লেগে গিয়েছে! আসলে ক্ষোভের আঁচে জ্বলতে জ্বলতে প্রিয়া গরম জল এনে ঢেলে দেন স্বামীর গোপনাঙ্গে। পরিত্রাহি চিৎকার করতে থাকেন থঙ্গরাজ। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। দ্রুত ওয়ালাজাপেট সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন থঙ্গরাজ। এদিকে পুলিশ মামলা রুজু করেছে প্রিয়ার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪ (প্রকাশ্যে অশ্লীল কাজ বা বাক্যপ্রয়োগ), ৩২৪ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) ও ৫০৬ ধারায় (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, এদেশে নারী নির্যাতনের ছবিটা যে ভয়ংকর তাতে সন্দেহ নেই। ধর্ষণ, বধূ নির্যাতনের মতো অসংখ্য অপরাধের কবলে পড়তে হয় মহিলাদের। পুরুষের উপর নির্যাতনের পরিমাণ তুলনামূলক অনেক কম হলেও সংখ্যাটা উপেক্ষণীয় নয়। তামিলনাড়ুর ঘটনা আরেকবার বর্বর অত্যাচারের এই দিকটিও দেখিয়ে দিল।