সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অকস্মাৎ ছুটিতে গেলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তথাগত রায় আপাতত সাময়িক ছুটিতে গিয়েছেন। তাঁর জায়গায় মেঘালয়ের রাজভবনের দায়িত্ব সামলাবেন আর এন রবি। রবি আপাতত নাগাল্যান্ডের রাজ্যপালের দায়িত্বে। তথাগত কাজে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত, একসঙ্গে দুই রাজ্যেরই দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই উত্তরপূর্ব ভারত বিক্ষোভে জ্বলছে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন উত্তরপূর্বের ভূমিপূত্ররা। তাঁদের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করতে গিয়ে একসময়ের বিজেপি নেতা তথা অধুনা রাজ্যপাল বলেন, ‘বির্তকের এই পরিবেশে দুটি জিনিস কখনও ভুলে গেলে চলবে না। ১) এই দেশ একসময়ে ধর্মের নামেই ভাগ হয়েছিল। ২) একটি গণতন্ত্রে মতভেদ থাকাটা খুবই জরুরি। আপনি যদি এই গণতন্ত্র না চান তাহলে উত্তর কোরিয়াতে চলে যান।’ বলা বাহুল্য, তথাগতর এই মন্তব্য একেবারেই ভালভাবে নেননি বিক্ষোভকারীরা। এই টুইটের পর বিক্ষোভের প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। বিপদে পড়ে যায় বিজেপি। তাঁদের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
[আরও পড়ুন: ‘বিপুল সংখ্যক আসন মানেই জনমতের আধিক্য নয়’, মোদি-শাহর সমালোচনা প্রণবের]
এসবের মধ্যেই মেঘালয়ের রাজভবন থেকে আকস্মিক ছুটি নিয়েছেন তথাগত। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতার জন্যই ছুটি নিয়েছেন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, ছুটি নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় বেড়াতে যেতে চান তথাগত। এমনিতে, রাজ্যপালরা বছরে ১৯ দিন রাজভবনের বাইরে কাটানোর সময় পান। তথাগত কবে থেকে ফের কাজে যোগ দেন, সেটাই এখন দেখার।
[আরও পড়ুন: NRC-CAA নিয়ে নীরব, নীতীশের নামে ‘নিরুদ্দেশ’ পোস্টারে ছয়লাপ পাটনা]
একসময় রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন তথাগত। তারপর একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল হয়েছেন। আপাতত তিনি মেঘালয়ের রাজ্যপাল। এর আগে ছিলেন ত্রিপুরায়। কিন্তু, সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও তাঁর আলটপকা মন্তব্যের বহর থামেনি। বারবার তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী তথা পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে উত্তরপূর্ব ভারতে বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই ধারণা স্থানীয় নেতাদের। তাই, কিছুটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
The post বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা! ‘ছুটি’তে গেলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় appeared first on Sangbad Pratidin.