সুমন করাতি, হুগলি: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কানাইপুর এলাকায়। অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকার লোকজন। মারধরের পর তাঁকে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কানাইপুর নপারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুব্রত দাস (৬৫)। তিনি এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়িতে পড়াতে যেতেন। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার লোকজনদের কাছে খবর ছড়াচ্ছিল যে ওই পড়ুয়াকে বিভিন্ন উপহার দিয়ে ধর্ষণ করতেন ওই শিক্ষক। ভয়তে ওই ছাত্রী কাউকে কিছু বলতে পারেনি। এর পর দীর্ঘ দুমাস ধরে ওই ছাত্রীর ঋতুস্রাব না হওয়ায় বাড়ির লোকরা এলাকার মহিলাদের সেই কথা জানান।
[আরও পড়ুন: মদের ফোয়ারা-টাকার ফুলঝুরি! পাহাড় থেকে খাদানে কমিশনের নজরে ‘ভোট বিক্রি’]
অভিযোগ, আজ মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীটিকে পড়াতে এসে নোংরামো ফের শুরু করেন। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলাকার মহিলারা। এর পর এলাকার বাসিন্দারা বেধড়ক মারধর করে ওই শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্তকে আটক করেছে উত্তরপাড়া থানার কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে কানাইপুর ফাঁড়িতে বিক্ষোভও দেখান এলাকার মহিলারা।
এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে এলাকার এক মহিলা বলেন, “এটা কেমন শিক্ষক। ভরসা করে যার কাছে বাড়ির মেয়েদের পড়তে পাঠাবো সেই শিক্ষক যদি এমন করে তাহলে আর কার উপর ভরসা করব। শিক্ষকের কাছেই এখন ছাত্রীরা সুরক্ষিত নয়। এই ছাত্রীর পরিবার গরিব তাই ছাত্রীকে প্রায় সোনার জিনিস থেকে শুরু করে টাকা উপহার দিত ওই শিক্ষক। আর সেই উপহার দিয়ে প্রায় ধর্ষণ করত ছাত্রীকে। এমন শিক্ষকের সমাজে থাকার কোনও অধিকার নেই। এই শিক্ষকের কঠিন শাস্তির দরকার।”