সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে গিয়ে মানবিকতার সীমা যে কখন লঙ্ঘন করে ফেলেছেন তা বুঝতেই পারেননি শিক্ষক। তার ‘অমানবিক’ আচরণ মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তাতেই বিপাকে পড়েন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মির্জাপুরের বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে তাকে।
ঠিক কী হয়েছিল? উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বেসরকারি স্কুলের দ্বিতীয় পড়ুয়া সোনু যাদব। স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের একদিন কামড়ে দেয় সে। কামড়ে দেয় শিক্ষককেও। এই ছিল তার ‘অপরাধ’। ছাত্রের কুঅভ্যাস ছাড়াতে উঠে পড়ে লাগেন প্রধান শিক্ষক মনোজ বিশ্বকর্মা। ভয় দেখাতে টানতে টানতে স্কুলের একেবারে উপরের তলায় নিয়ে যায় তাকে। ছাত্রকে প্রশ্ন করতে থাকেন কেন এমন করল সে। এদিকে, শিক্ষককে রেগে যেতে দেখে কাঁদতে শুরু করে সোনু।
[আরও পড়ুন: গুরগাঁওয়ে নমাজ চলাকালীন বিক্ষোভ, উঠল ‘বন্ধ করো’ স্লোগান! ধৃত ৩০]
এরপরই ছাত্রের একটি পা ধরে মাথা নিচের দিকে করে ঝুলিয়ে নেয় শিক্ষক। স্কুলের সবচেয়ে উঁচু বারান্দা থেকে নিচে এভাবেই ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। নিচে ফেলে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। ভয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে শিশুটি। সহপাঠীকে এমন ভয়ংকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সকলেই। অন্যান্য ছাত্ররা শিক্ষককে ঘিরে ধরে। ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকা পড়ুয়াদের কেউ কেউ কেঁদেও ফেলে। চিৎকার করতে থাকে প্রত্যেকে। এরপর দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে তুলে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে দেয় শিক্ষক।
নির্মম অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তা নজরে আসে পুলিশের। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়। গ্রেপ্তার করা হয় শিক্ষককে। ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত। ছাত্রকে সুশিক্ষা দিতে এ কাজ করেছেন বলেই দাবি তার। এদিকে, শিশুর বাবা-মা জানান, এভাবে সোনুর বড়সড় বিপদ হতেই পারত। তবে ছেলেকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে শিক্ষক যেকোনও ধরনের শাস্তি দিতে পারেন বলেই দাবি তাঁদের।