সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবধান মাত্র এক সপ্তাহ। তারই মাঝে বুধবার সন্ধেয় ফের বিকাশ ভবনে সিবিআই হানা। শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আচমকা কী কারণে বিকাশ ভবনে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা, এখনও তা জানা যায়নি
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তথ্যের খোঁজে বুধবার সন্ধেয় বিকাশ ভবনে হানা দেন সিবিআইয়ের। শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন আধিকারিকরা। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ফের কেন বিকাশ ভবনে হানা দিলেন আধিকারিকরা, সে বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে এখনও কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর বিকাশ ভবনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা যান। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্ত্রীর ঘরের উলটোদিকে তাঁর সচিবালয়ে বসেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন নথিপত্র বাজেয়াপ্তও করা হয়।
[আরও পড়ুন: ঠিক যেন ‘থ্রি ইডিয়টস’, মহিলাদের সহায়তায় কলকাতায় রাস্তার পাশে সন্তান প্রসব অন্তঃসত্ত্বার]
বিকাশ ভবনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একটি গুদামে শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন নথিপত্র রাখা থাকে। গত সপ্তাহে ওই গুদামে যায় সিবিআই। আধিকারিকদের সঙ্গে একটি কালো বাক্স ছিল। গুদাম থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা। সিবিআই বিকাশ ভবনের ঠিক যে জায়গায় যায়, সেই ছ’তলাতেই রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ঘর। সেখানেই বেশ কয়েকজন আধিকারিকের সঙ্গেও কথা হয় সিবিআইয়ের।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি’র জালে ধরা পড়েন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারপর একে একে এই দুর্নীতি মামলায় জড়িত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়-সহ বেশ কয়েকজন মূলচক্রীকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের জেরা করা নানা তথ্যের সন্ধান মিলছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। তারই মাঝে সিবিআই আধিকারিকদের দ্বিতীয়বার বিকাশ ভবনে হানা স্বাভাবিকভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।