সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর বক্সিং ডে-তে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এসেছিল জয়। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ঘরের দলকে ধরাশায়ী করে বক্সিং ডে স্মরণীয় করে রাখলন টিম ইন্ডিয়া। আর দুই টেস্টেই নেতার ভূমিকায় থেকে নজির গড়লেন বিরাট কোহলি। শুধু তাই নয়, প্রথম এশিয়ান অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরিয়নে বিজয় ঝাণ্ডা ওড়ানোরও ইতিহাস গড়লেন কোহলি। তাঁর ব্যাটিং নিয়ে ক্রমাগত সমালোচনার মাঝেও এই সাফল্যই বা কম কী! তবে জয়ের কৃতিত্ব দলের বোলারদেরই বেশি করে দিচ্ছেন অধিনায়ক। মহম্মদ শামির (Mohammad Shami) ভূয়সি প্রশংসা শোনা গেল তাঁর গলায়।
সেঞ্চুরিয়নে ৯০ শতাংশ জয়ের রেকর্ড রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। এককথায়, প্রোটিয়া বাহিনীর কাছে এটি পয়া মাঠ। আর সেখানেই ১১৩ রানে রাজকীয় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। এলগারদের দ্বিতীয় ইনিংসে ওঠে পেস ঝড়। বুমরাহ-শামি-সিরাজদের দাপটে রীতিমতো বেসামাল হয়ে পড়েছিল প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডার। আর তাই পেসারদের পারফরম্যান্সে বিশেষ করে শামির জন্য উচ্ছ্বসিত কোহলি (Virat Kolhi)। ম্যাচ জিতে ক্যাপ্টেন বলে দেন, “শামি বিশ্বমানের বোলার। আমার মতে ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা দিন সিম বোলারদের তালিকায় থাকতে পারে শামি। ২০০টা উইকেটের মালিক হয়ে গিয়েছে। ওর জন্য দারুণ খুশি। অসাধারণ পারফর্ম করেছে।” ম্যাচের পর ২০০টি টেস্ট উইকেট তুলে নেওয়া শামিকে নিয়ে সেলিব্রেশনে মাতেন সতীর্থরা।
[আরও পড়ুন: IND vs SA: কাজে দিল না বাভুমার লড়াই, ভারতীয় পেসারদের দাপটে সেঞ্চুরিয়নে কাঙ্ক্ষিত জয় টিম ইন্ডিয়ার]
শামির প্রশংসার পাশাপাশি দলের জয় প্রসঙ্গে কোহলি আরও বলেন, “ঠিক যেভাবে শুরুটা করতে চেয়েছিলাম, সেটাই হয়েছে। চারদিনে ম্যাচ জিতে নেওয়াতেই বোঝা যাচ্ছে আমরা কতটা ভাল খেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা বরাবরই কঠিন জায়গা। কিন্তু সেখানে ব্যাট, বল, ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই ভাল খেলেছে দল। মায়াঙ্ক আর রাহুলকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। আমাদের বোলিংয়ের উপরও পূর্ণ আস্থা ছিল। কী দারুণ খেলেছে ওরা।” অর্থাৎ দলের সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়েই খুশি তিনি।
এদিকে প্রথম ইনিংসে ১২৩ রান করা রাহুল ম্যাচের সেরা হয়ে বলে দেন, “চেয়েছিলাম দল শুরুটা দারুণ ভাবে করুক। ওপেনিং স্লটটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলের বাইরে থাকাকালীন অনেক পরিশ্রম করেছিলাম। এবার তার ফল পাচ্ছি। এই ছন্দটাই ধরে রাখতে চাই।”