সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে (Farmers’ Protest) সরগরম দিল্লি (Delhi)। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে ২৫ জন মুসলিম (Muslim) যুবকদের একটি দল দায়িত্ব নিল আন্দোলনরত কৃষকদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় গত বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে তাঁদের এই লঙ্গর। খোলা থাকছে সারা দিনই।
‘মুসলিম ফেডারেশন অফ পাঞ্জাব’ নামের সংগঠনের প্রতিনিধি এই যুবকেরা। পাঞ্জাবের মালেরকোটলা থেকে আসা দলটির নেতা ফারুকি মুবিন জানিয়েছেন, যাঁরা সকলের খাবারের জোগান দেন, সেই কৃষকরা যাতে অভুক্ত না থাকেন সেজন্যই এখানে উপস্থিত তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘সারাদিনই এই লঙ্গর খোলা থাকবে, যতদিন প্রতিবাদ চলবে। কৃষকেরা আমাদের জন্য এত কিছু করেন। এবার সময় এসেছে তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়ার। ওঁদের দেখভাল করাটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমরা ভাগ্যবান, আমরা আমাদের কৃষক ভাইদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।’’
[আরও পড়ুন: আলোচনায় অধরা সমাধানসূত্র, ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক কৃষক সংগঠনগুলির]
এদিকে, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সংলগ্ন দিল্লি সীমানায় পথ আটকে রয়েছে হাজার হাজার প্রতিবাদী কৃষকের জমায়েতে। গত ১০ দিন ধরে চলছে প্রতিবাদ। বৃহস্পতিবার প্রতিবাদী কৃষকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। আন্দোলনের আঁচ ক্রমশই বাড়ছে। চাপ বেড়েছে কেন্দ্রের উপরে। নিজেদের দাবিতে কৃষকদের অনড় মনোভাব, দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ — এসবের সমাধান খুঁজতে ফের আজ পঞ্চম দফায় তাঁদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ‘ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন’-এর নেতা রাকেশ তিকাই আশাপ্রকাশ করেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শনিবার কোনও দিশা মিলতে পারে। তারই মাঝে এই মানবিক ছবি বুঝিয়ে দিচ্ছে, কৃষক স্বার্থ আসলে সকলের স্বার্থ, দেশের প্রাণ আসলে কৃষিজমিতেই।