সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামায়ণে খল চরিত্র হিসেবেই ‘সূর্পণখা’কে দেখা হয়। কিন্তু আপাত দৃষ্টির নেপথ্যেও অনেক তথ্য থেকে যায়। দৃষ্টিভঙ্গীর তফাতে পালটে যায় চরিত্রদের ব্যাখ্যা। বিশেষ করে মহাকাব্যের চরিত্রদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। প্রথমবার পরিচালনায় এসে তেমনটাই করেছেন অভিনেত্রী সুচন্দ্রা ভানিয়া (Suchandraa Vaaniya)। তৈরি করেছেন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘সূর্পণখার আগমন’ (Shurponakhar Agomon)। কান চলচ্চিত্র উৎসবে (Cannes Film Festival) পাঠানো হয়েছে ছবিটি। প্রকাশ্যে এসেছে আগাম ঝলকও। সেই উপলক্ষ্যেও কলকাতা শহরে এসেছিলেন একঝাঁক বহুরূপী শিল্পী। এই প্রথম কোনও সিনেমার আগাম ঝলক প্রকাশের অনুষ্ঠানে কলকাতায় এলেন তাঁরা।
‘সূর্পণখা’র অপমানের প্রতিহিংসার প্রেক্ষাপটই ছবির মূল আধার। পৌরাণিক গাথাকে ভিত্তি করেই চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। যাতে অন্য মুখ্য চরিত্রে দেখা যাচ্ছে সীতাকে। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাঁওতালি অভিনেত্রী পার্বতী মুর্মু (Parbati Murmu) ও রাজলক্ষ্মী কিসকু (Rajlaxshmi Kisku)। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন সাঁওতালি কুশীলব ও ছৌ শিল্পীরা। ছবির সুরকার সৌম্যরীত। চিত্রনাট্যকার চন্দ্রোদয় পাল। ইংরাজি, বাংলা ও সাঁওতালি ভাষায় তৈরি হয়েছে ‘সূর্পণখার আগমন’। ছবির ইংরাজি ভাষার ভয়েস ওভার দিয়েছেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায় এবং উজ্জয়িনী ঘোষ।
[আরও পড়ুন: ‘দোস্তানা ২’ থেকে বাদ কার্তিক আরিয়ান! করণ জোহরকে একহাত নিলেন ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা]
এই প্রথমবার পরিচালনার কাজ সামলালেন সুচন্দ্রা। কাহিনি ভাবনাও তাঁর। আগাম ঝলক প্রকাশের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী-পরিচালক বলেন, “এমন অভিনব ভাবে টিজার প্রকাশ করতে পারব সেটা আগে ভাবিনি। সূর্পণখার জীবনের চাওয়া, না পাওয়া, অপমান থেকেই যে গোটা রামায়ণের সূচনা, সেই নিয়েই আমার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছবিটা তৈরি করেছি। বহুরূপীদের এমন সুন্দর অভিনয় সত্যিই আনন্দ দেয়। লকডাউনে এই সমস্ত লোকশিল্পীদের ভীষণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই উদ্যোগ নিশ্চয়ই তাঁদের কিছুটা সহযোগিতা করবে। ছবিটা দেশ বিদেশের অনেক ফেস্টিভালে যাচ্ছে। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অবশ্যই তার মধ্যে অন্যতম।”