shono
Advertisement
Cooch Behar

প্রাক্তন শিক্ষককে ৭২ ঘণ্টা ডিজিটাল অ্যারেস্ট, পুলিশের জালে ভুয়ো সিবিআই অফিসার

২ লক্ষ টাকার বেশি নেওয়া হয়েছিল প্রৌঢ়ের থেকে।
Published By: Suhrid DasPosted: 09:52 AM Feb 05, 2025Updated: 10:32 AM Feb 05, 2025

বিক্রম রায়, কোচবিহার: হঠাৎ অজানা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল। ওপার থেকে ঝরঝরে ইংরাজিতে, কখনও বা হিন্দিতে নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে শুরু হল জেরা। মানি লন্ডারিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে কিছুক্ষণ পরেই ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’। আর তারপর টানা ৭২ ঘণ্টা রীতিমতো মোবাইলের ভিডিও ক্যামেরার সামনে বসে থাকতে বাধ্য করা হয়। শেষে ঘটনার মীমাংসা করতে প্রথম ধাপে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া। পর্যায়ক্রমে এই ঘটনাগুলি ঘটেছে বক্সিরহাট থানা এলাকার বাসিন্দা, প্রাক্তন শিক্ষক উত্তমকুমার পালের সঙ্গে।

Advertisement

২ লক্ষাধিক টাকা দেওয়ার পরেও চাপ কমছে না। তখন তাঁর সন্দেহ শুরু হয় বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তারপরই হয় রহস্যভেদ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এর শিকড় রয়েছে অন্ধপ্রদেশের বিজয়নগরম জেলার দেনকাটা থানা এলাকায়। ওই প্রাক্তন শিক্ষকের কাছ থেকে ওই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। তার শাখা রয়েছে অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। আর সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরেই মিলল সাফল্য। এই ঘটনায় যুক্ত থাকা ৩৩ বছর বয়সী পিল্লা নানিকে গ্রেপ্তার করেছে কোচবিহারের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতকে গত ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করার পর ট্রানজিট রিমান্ডে কোচবিহার নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে কোচবিহার জেলা আদালতের তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গত ৮ জানুয়ারি প্রথমবার অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন এসেছিল। সিবিআই পরিচয় দিয়ে তাঁকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়। পরবর্তীতে ৯ জানুয়ারি তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারিত হয়েছেন, এটা বুঝতে পেরে ওই শিক্ষক গত ১১ জানুয়ারি বক্সিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে ৩১ জানুয়ারি পুলিশ অন্ধ্রপ্রদেশে থেকে পিল্লা নানিকে গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকেই ধৃত এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কতজন যুক্ত রয়েছে? তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত একই ঘটনা মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তির সঙ্গেও ঘটিয়েছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে পুলিশ সেটা জানতে পেরেছে। এই ধরনের ঘটনায় তদন্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার নজির খুব কম রয়েছে। কাজেই এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জেলার পুলিশ মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • হঠাৎ অজানা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল।
  • নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে শুরু হল জেরা।
  • মানি লন্ডারিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে কিছুক্ষণ পরেই ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’।
Advertisement