সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাধ্যমিকের প্রথমদিনই প্রশ্নফাঁস! গত কয়েক বছর ধরে শিরোনামে উঠে আসে এই এক খবর। কিন্তু কে বা কারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে, তা খুঁজে বের করতে শিরেসংক্রান্তি অবস্থা হয় পর্ষদের। এবারও মাধ্যমিকের প্রথমদিন প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যেই ‘দোষী’দের ধরে ফেলে পর্ষদ। প্রযুক্তির কল্যাণেই এল সাফল্য।
কীভাবে ধরা হল প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্তদের? এর প্রস্তুতি অবশ্য অনেকদিন আগেই নিয়েছিল পর্ষদ। আর তাতেই মিলল ফল। প্রশ্নপত্রে থাকা QR কোডের সৌজন্যেই অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলও করেছে পর্ষদ। ঠিক কীভাবে বিষয়টি সম্ভব হল, জেনে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন: ‘টোটাল মিথ্যা’, বকেয়া বন্ধে CAG রিপোর্ট নিয়ে সুকান্তর দাবি ওড়ালেন মমতা]
বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে QR কোডের চল রয়েছে। অনলাইন পেমেন্ট থেকে কোনও রেল কিংবা বিমানের টিকিটের বিস্তারিত তথ্য, সবই জানা যায় QR কোড স্ক্যান করলেই। সেই বিষয়টিকেই এবার জুড়ে দেওয়া হয়েছিল মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে। পরীক্ষা শেষ হতেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রশ্নপত্রের দ্বিতীয়পাতার ছবি। জানা যায়, মালদহ থেকে ছড়িয়েছিল ছবিটি। সেই ছবিতেই দেখা যায় প্রশ্নপত্রের উপর বেশ কয়েকটি QR কোড রয়েছে। আসলে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধাঁচে সিরিয়াল নম্বরের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ‘ইউনিক কিউআর কোড’-এর মাধ্যমে এই সিরিয়াল নম্বর ব্যবহার করা হয়। তবে যে কোনও মোবাইল বা ডিভাইস থেকে তা স্ক্যান করা যাবে না। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমেই শুধুমাত্র তথ্য জানা যাবে।
প্রত্যেকের প্রশ্নপত্রে আলাদা আলাদা কোড রয়েছে। ফলে কোন পরীক্ষার্থী কোন প্রশ্নপত্র পেয়েছে, তার সব তথ্য থাকছে পর্ষদের কাছে। শুক্রবার ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের QR কোড স্ক্যান করে পর্ষদ কর্মীরাই জানতে পারেন কোন জায়গার কোন পরীক্ষার্থীর হাতে ওই প্রশ্নপত্র পড়েছিল। কোন স্কুলে ওই প্রশ্নপত্র পৌঁছেছিল, তাও জানা যায় সিরিয়াল নম্বর থেকে। ফলে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা বেশ সহজ হয়ে যায়। আর তাতেই খাটনি ও সময় দুই-ই বাঁচে।