সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধ? প্রেমে পড়া। আর তার জেরেই নারকীয় ঘটনার সাক্ষী রইল বিহারের মুজাফ্ফরপুর (Muzzafarpur)। গণপিটুনিতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল ১৭ বছরের নাবালক। নৃশংসভাবে কেটে দেওয়া হল তার যৌনাঙ্গ। নাবালকের মৃত্যুতে চূড়ান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তার পরিবার ও স্থানীয়। প্রতিবাদ স্বরূপ অভিযুক্তর বাড়ির সামনেই নাবালকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন ক্ষুব্ধরা।
গত শুক্রবার রাতে কান্তি থানার অন্তর্গত রেপুরা রামপুরশাহ গ্রামে ঘটে ঘটনাটি। ওই গ্রামেরই ছেলে সৌরভ কুমারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পাশের গ্রাম সোর্বাতার এক কিশোরীর সঙ্গে। ভালবাসার টানেই শুক্রবার লুকিয়ে প্রেমিকার বাড়ি গিয়েছিল সৌরভ। আর তারপরই ঘটে যায় মর্মান্তিক কাণ্ড। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর সতেরোর তরুণকে সেখানে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে কিশোরীর বাড়ির লোকেরা। গলধোলাই দিতে শুরু করে তাকে। গুরুতর আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারায় সে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: নজরে ২৪, দিল্লিতে বুধবারই অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন Mamata]
খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় কান্তি থানার পুলিশ। সৌরভের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রেমঘটিত কারণেই প্রেমিকার পরিবারের হাতে মার খেতে হয় তাকে। শুধু তাই নয়, এমন ‘অপরাধে’র জন্য তরুণের যৌনাঙ্গও কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মুজাফ্ফরপুরের (শহর) এসপি রাজেশ কুমার জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিষয়টি আরও একটু পরিষ্কার হবে। কিন্তু তার আগেই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর আকার নেয়। মেয়ের বাড়ির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সৌরভের পরিবার-পরিজনরা।
প্রেমিকার পরিবারের সদস্য অভিযুক্ত সুশান্ত পাণ্ডের বাড়ির সামনে ভাঙচুর, বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এমনকী শনিবার সৌরভের শেষকৃত্যও অভিযুক্তর বাড়ির সামনেই করা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকে পলাতক বলেও জানা গিয়েছে। তবে অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে তাণ্ডব চালানোয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।