সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ক্ষত এখনও তাজা। এর মাঝেই নারী নির্যাতনের ঘটনায় নজির গড়ল কেরল! ১৭ বছরের এক তরুণীকে তিন বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল তার কয়েকজন আত্মীয়-সহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তাদের মধ্যে ২০ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের মালাপ্পুরাম জেলার পান্ডিকাদ (Pandikad) এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে ১৩ বছর বয়সে আচমকা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল নির্যাতিতা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে পুলিশের কাছে মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে তার মা। এই ঘটনার একবছর বাদে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চাইল্ড হোমে পাঠায় প্রশাসন। পরে বাড়িতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে মেয়েটি অভিযোগ করে, তার বাবা মারা গিয়েছেন। সংসার চালানোর জন্য মা দিনমজুরের কাজ করেন। দাদাও কাজের প্রয়োজনে বাইরে থাকেন। তাই বাড়িতে একাই থাকতে হত নির্যাতিতাকে। এই সুযোগে কয়েকজন আত্মীয়-সহ ৪৪ জন ব্যক্তি তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করেছে। এরপরই তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে একাধিক মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই সমস্ত মামলা চলার মাঝেই এক বছর আগে ওই তরুণীকে চাইল্ড হোম থেকে নির্ভয়া সেন্টারে স্থানান্তরিত করে প্রশাসন। আর গত ডিসেম্বর মাসে তাকে তুলে দেওয়া হয় মা ও দাদার হাতে। কিন্তু, এরপরও আচমকা কয়েকদিনের জন্য নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল মেয়েটি। এক আত্মীয় তাকে বাড়ি থেকে পালাক্কাদে নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে সেখান থেকেও মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রাহানেদের অজি বধের প্রসঙ্গ তুলে ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র জয়গান প্রধানমন্ত্রীর ]
এপ্রসঙ্গে মালাপ্পুরমের (Malappuram) সার্কেল ইনস্পেক্টর মহম্মদ হানিফ জানান, মেয়েটি ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মোট ৩২টি মামলা করেছেন। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মেয়েটির গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।