সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপমুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি শপথ নিয়েছেন দু’সপ্তাহও হয়নি। এরই মধ্যে পুরনো দুর্নীতির মামলায় তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে ‘খেলা’ শুরু করে দিল সিবিআই। সূত্রের দাবি, ইউপিএ (UPA) আমলে জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে এবার অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসছে তেজস্বীর নাম। তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় প্রমাণও চলে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে। যার ভিত্তিতে তেজস্বীকে নাকি গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।
সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ছিলেন তেজস্বীর বাবা লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। একাধিক পদে অর্থ বা জমির বিনিময়ে নিয়োগ করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যেই দফায় দফায় লালুর পরিবারের বহু ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরজেডির অন্যান্য নেতাদের সম্পত্তিতেও তল্লাশি চলেছে। বিহারে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এই মামলার তদন্তের গতি যেন বাড়তে শুরু করছে।
[আরও পড়ুন: মাদক খাইয়ে খুন সোনালি ফোগাটকে? ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেপ্তার গোয়ার রেস্তরাঁ মালিক ও মাদক কারবারি]
বিহারের নতুন সরকার যেদিন বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করল, সেদিনও সিবিআই বিহার, দিল্লি, এবং হরিয়ানার বিভিন্ন প্রান্তের ২৫টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। বিহারের পাটনা, কাটিহার এবং মধুবনীতে একাধিক হাই প্রোফাইল আরজেডি নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, সেই তল্লাশিতে বিস্ফোরক সব তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে এসেছে একটি হার্ড-ডিস্ক। যাতে মোট ১ হাজার ৪৫৮ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছে। যারা কিনা চাকরি পাওয়ার জন্য জমি দিতে রাজি ছিলেন। সিবিআইয়ের ধারণা, এই তালিকাটি তৈরি করেছেন খোদ তেজস্বী যাদব।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা ওকে জোর করব’, রাহুলকে কংগ্রেস সভাপতি পদে ফেরাতে মরিয়া খাড়গেরা]
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই যে ১ হাজার ৪৫৮ জনের তালিকা তেজস্বী (Tejaswi Yadav) বানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ১৬ জন সম্পর্কে ইতিমধ্যেই তাঁরা খোঁজখবর করা হয়েছে। এবং প্রমাণও মিলেছে এরা অবৈধভাবে লালুর ঘনিষ্ঠদের জমি পাইয়ে দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। তালিকায় বাকি যাদের নাম রয়েছে, তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য রেলকে চিঠি লিখছে সিবিআই। বিস্তারিত তথ্য পেলেই তেজস্বীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে। যদিও আরজেডি এর নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গন্ধ পাচ্ছে।