সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভিন্ন পানশালায় মহিলাদের সঙ্গে আলাপ করত সে। আর তারপর তাদের পিকনিকের নাম করে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করত। সেই সিরিয়াল কিলার (Serial Killer) ইয়েরুকালি শ্রীনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল তেলেঙ্গানার (Telangana) এক জেলা আদালত। জানা গিয়েছে, ১৭ জন মহিলাকে খুন করার পাশাপাশি নিজের ভাইকেও খুন করেছিল শ্রীনু।
বৃহস্পতিবারই শ্রীনুকে দোষী সাব্যস্ত করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। এরপরই তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয় সিরিয়াল কিলার (Serial Killer) শ্রীনুকে। অ্যালিভেলাম্মা নামের এক মহিলাকে খুনের অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্রমে তদন্ত শুরু হতেই অবাক হয়ে যায় পুলিশ। দেখা যায়, সব মিলিয়ে ১৭ জন মহিলাকে খুন করেছে শ্রীনু। গত এক দশক ধরে এই হত্যালীলা চালিয়েছে সে। কেবল খুন করাই নয়, নিহত মহিলাদের গয়নাও চুরি করত সে। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্রীনুর স্ত্রী সালাম্মাকেও।
[আরও পড়ুন: আজমেড়ের বিখ্যাত খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগাও আসলে মন্দির! দাবি হিন্দু সংঠনের]
জানা গিয়েছে, রীতিমতো মদে আসক্ত ছিল ওই সিরিয়াল কিলার। আর পানশালাতেই সে তার ‘শিকার’কে টার্গেট করত। আলাপ জমাত মহিলাদের সঙ্গে। তারপর পিকনিকের নাম করে নির্জন স্থানে নিয়ে যেত তাদের। সেখানে তাদের সঙ্গে বসে পান করত সে। তারপর তারা অচেতন হয়ে পড়লে তার উপরে চড়াও হত। খুনের পরে সেই মহিলাদের গয়না চুরি করে পালিয়ে যেত সে।
নিজের ভাইকেও খুন করেছিল সে। ২০০৯ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে জেলে ভাল ব্যবহারের কারণে ২০১৩ সালে তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৮ সালে তাকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কারাবিভাগ পরিচালিত এক পেট্রল পাম্পে চাকরিও পেয়ে যায় শ্রীনু। কিন্তু ‘ভাল’ সেজে থাকার আড়ালে একের পর এক ঘৃণ্য কাজ করতে থাকে সে। পরে দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে তদন্ত করছিল পুলিশ। অবশেষে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় শ্রীনুকে।