সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে হামলা নিয়ে দিনভর বিরোধী হট্টোগোল চলল সোমবার। যার জেরে সাসপেন্ড হয়েছেন ৭৮ জন সাংসদ। এমন দিনেই টেলিকম বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই বিলের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের আনতে চাইছে মোদি সরকার, এমনটাই দাবি বিরোধীদের। কী থাকছে এই নতুন বিলে?
গত আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন টেলিযোগাযোগ বিলের খসড়া পাশ হয়েছিল। কেন্দ্রের দাবি, ১৩৮ বছরের পুরনো ব্রিটিশ জমানার টেলিগ্রাফ আইন লাগু রয়েছে দেশে। এর মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সেই কারণেই ইন্টারনেট নির্ভর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নতুন বিল আনা হচ্ছে। এছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে যে কোনও সংস্থার টেলিযোগাযোগ পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার বা বন্ধ করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে নতুন আইনে। এমনকী অনলাইন ফোন এবং মেসেজও এই আইনের অধীনে থাকবে।
[আরও পড়ুন: ‘নির্দেশ মানার ইচ্ছা আছে?’, সিবিআইয়ের অভিযোগে মুখ্যসচিবকে তোপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
এখানেই বিরোধীদের আপত্তি। তাদের আশঙ্কা, আদতে গোটা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং প্রয়োজনে নজরদারি চালাতে নতুন আইন প্রয়োগ করা হবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই কাজ করা হচ্ছে।