সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক ধরেই জয় ভানুশালি, মাহি ভিজের ডিভোর্সের খবরে উত্তাল মায়ানগরীর টিনসেল টাউন! ১৪ বছরের সংসার। তিন সন্তানের মা-বাবা। হিন্দি টেলিদুনিয়ার অন্যতম 'পাওয়ার কাপল' হওয়া সত্ত্বেও দেড় দশকের দাম্পত্যে যতিচিহ্ন টানছেন জয়-মাহি? কৌতূহল সর্বত্র। সন্দেহের বশে পারস্পারিক বোঝাপড়ার অবনতি হওয়ার জেরেই নাকি তারকাদম্পতির সংসারে ভাঙন ধরেছে! জয়-মাহির ডিভোর্স নিয়ে এহেন নানা ত্বত্ত্ব যখন বলিপাড়া থেকে সোশাল পাড়ায় মাথা চাড়া দিয়েছে, তখন এমন আবহেই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ডিভোর্স নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন মাহি ভিজ।
অভিনেত্রী জানান, "জয় আমার পরিবার, আর চিরকাল সেই সমীকরণই বজায় থাকবে। ও দারুণ একজন মানুষ হওয়ার পাশাপাশি খুব ভালো বাবাও। তাই যতদিন না আমরা নিজেরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছি, ততদিন আপনারা দয়া করে আমাদের ব্যক্তিগতজীবনে নাক গলানো বন্ধ রাখুন!" এখানেই অবশ্য থামেননি মাহি। এই 'কঠিন' সময়ে সন্তানদের কথা ভেবে তাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার্থের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মাহির কথায়, এহেন ডিভোর্স গুঞ্জন তাঁদের সন্তানদের মনেও বড়সড় প্রভাব ফেলেছে।
অভিনেত্রী জানান, "আমার ছেলে মোবাইল থেকে একটি নিউজ পোর্টাল খুলে আমাকে দেখায়। একবার ভাবুন, ও কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে! আজকাল তো সব বাচ্চাদের হাতেই মোবাইল থাকে। ফলত এসব খবরে ওদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব পড়ে। শুধুমাত্র কটা লাইক, কমেন্টের আশায় ভুয়ো খবর ছড়াবেন না দয়া করে।" যদিও স্বামী হিসেবে জয় ভানুশালি কেমন? সেটা ব্যাখ্যা করেননি মাহি ভিজ। এমনকী তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, যতদিন না নিজেমুখে তিনি কিছু জানাচ্ছেন, ততদিন এসব খবরে বিশ্বাস না করাই ভালো! অভিনেত্রীর এহেন মন্তব্যে অনুরাগীদের একাংশের কৌতূহল, তাহলে কি সত্যিই মাসখানেক ধরে আলাদা থাকছেন জয়-মাহি? নইলে অভিনেত্রী 'সময়কালে'র কথা কেন উল্লেখ করবেন?
এদিকে ডিভোর্স গুঞ্জনের মাঝেই টিনসেল টাউনে কানাঘুষো, মাহি ভিজ নাকি জয় ভানুশালির থেকে ৫ কোটি টাকা খোরপোশ চেয়েছেন! সত্যিই কী তাই? নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এপ্রসঙ্গে মুখ খুলতেও কোনওরকম কুণ্ঠাবোধ করেননি অভিনেত্রী। তাঁর মন্তব্য, "খোরপোশের বিষয়ে আমার মুখ থেকে কিছু না শুনলে কারও কথায় কান দেবেন না। কারণ আমার বিশ্বাস, আলাদা থাকলে নিজের খরচ নিজে চালানো উচিত। প্রত্যেক মহিলার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকা উচিত। সে বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত। তবে গৃহবধূদের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। যাঁরা কোনওদিন বাইরে কাজ করার সুযোগ পাননি, তাঁরা খোরপোশ নিতে পারেন। কিন্তু কেউ নিজে আর্থিকভাবে স্বচ্ছ্বল হলে, তাঁর খোরপোশ নেওয়া অর্থহীন। কারণ যিনি পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে, টাকার অধিকার আদতে তাঁরই।"
