সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিনোদুনিয়ায় আছড়ে পড়ল দুঃসংবাদ! গোবর্ধন আসরানি, পীযূষ পাণ্ডের প্রয়াণের শোকের আবহেই শনিবার বিকেলে ফের নক্ষত্রপতনের খবর বিনোদুনিয়ায়। প্রয়াত অভিনেতা সতীশ শাহ। আপামর ভারতীয় টেলিদর্শকের কাছে যিনি প্রিয় 'সারাভাই'। বলিউড সংবাদমাধ্যমের কাছে সতীশ শাহের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ম্যানেজার।
বলিউড সংবাদমাধ্যমের কাছে সতীশ শাহের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ম্যানেজার। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অভিনেতার শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপনও হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি! ২৫ অক্টোবর, শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪। সতীশের ম্যানেজার জানালেন, অভিনেতার মরদেহ আপাতত হাসপাতালেই রয়েছে। রবিবার মুম্বইয়ে শেষকৃত্য করা হবে। বন্ধুবিয়োগে শোকবিধ্বস্ত পরিচালক অশোক পণ্ডিত। সোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, "কিছুক্ষণ আগেই আমাদের বন্ধু তথা অসাধারণ অভিনেতা সতীশ শাহ ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন। আজ আচমকাই বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি শিবাজি পার্কের হিন্দুজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। শনিবার সন্ধেবেলা বান্দ্রার বাসভবনে তাঁর মরদেহ আনা হবে। আমাদের সিনেজগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। সতীশের সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। দারুণ একজন মানুষ ছিলেন।"
বিগত চার দশকের অভিনয় কেরিয়ারে সতীশ শাহ যেমন টেলিদর্শকমহলে 'কাছের মানুষ' হয়ে উঠেছিলেন, ঠিক তেমনই বিভিন্ন সময়ে সিনেপর্দায় শাহরুখ-সলমনের মতো তাবড় তারকাদের মাঝেও নিজস্ব অভিনয়গুনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৮৩ সালে কুন্দন শাহের স্যাটায়ার জঁরের ছবি 'জানে ভি দো ইয়ারো' সিনেমায় অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সতীশ। তার পর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। 'হাম সাথ-সাথ হ্যায়', 'ম্যায় হুঁ না', 'কাল হো না হো', 'কভি হাঁ কভি না', 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' থেকে 'ওম শান্তি ওম'-এর মতো একাধিক সুপারহিট সিনেমায় নজর কেড়েছে তাঁর অভিনয়। টেলিপর্দাতেও সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন সতীশ শাহ। 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই' ধারাবাহিকে তাঁর অভিনীত ইন্দ্রবদন সারাভাইয়ের চরিত্রটি ভারতীয় টেলিদুনিয়ার ইতিহাসে অন্যতম আইকনিক কমিক চরিত্র হিসেবেই রয়ে যাবে।
