shono
Advertisement

নীতীশের বিহারে সমস্ত মন্দিরকে দিতে হবে কর! মুঘলদের জিজিয়ার সঙ্গে তুলনা হিন্দুত্ববাদীদের

কংগ্রেস এবং এআইএমআইএমও নীতীশ সরকারকে আক্রমণ করেছে।
Posted: 09:07 PM Dec 01, 2021Updated: 09:07 PM Dec 01, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে (Bihar) এবার করের আওতায় আনা হচ্ছে মন্দিরগুলিকে (Temple)। ‘বিহার স্টেট বোর্ড অফ রিলিজিয়াস ট্রাস্ট’ এই নির্দেশ জারি করার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, ৪ শতাংশ কর দিতে হবে রাজ্যের সমস্ত মন্দিরকে। ইতিমধ্যেই হিন্দুত্ববাদীরা সরব হয়েছেন নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকী, মুঘল আমলে অমুসলিমদের উপরে চাপানো জিজিয়া করের সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে এই করকে।

Advertisement

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, করের আওতায় আনা হচ্ছে এমনকী কোনও পরিবারের ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত মন্দিরকেও। যদি কোনও বাড়ির নির্ধারিত বাউন্ডারির মধ্যে মন্দিরটি স্থাপিত হয় এবং পরিবারের সদস্যরাই কেবল সেখানে প্রার্থনা করে থাকেন তাহলে অবশ্য কর দিতে হবে না। কিন্তু যদি সেই মন্দিরটি বাড়ির চৌহদ্দিতে অবস্থিত না হয় কিংবা যদি কোনও পারিবারিক মন্দিরে একের বেশি পরিবারের সদস্যরা এসে প্রার্থনা করেন তাহলে কিন্তু সেই মন্দির করের আওতায় পড়ে যাবে।

[আরও পড়ুন: কাঁটা ওমিক্রন! ১৫ ডিসেম্বরও স্বাভাবিক হচ্ছে না আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা]

নতুন নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানানো হয়েছে, এই সমস্ত মন্দিরকেই নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এবং এরপর থেকেই মোট রোজগারের ৪ শতাংশ দিতে হবে মন্দির কর হিসেবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই নয়া নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ও এআইএমআইএম নীতীশ সরকারকে আক্রমণ করেছে। বিতর্ক সামলাতে মুখ খুলেছেন বোর্ডের এক সদস্য। তুলসায়ন সেহগল নামের সেই সদস্যের কথায়, ”এটা কর নয়। বার্ষিক পরিষেবা চার্জ।” কিন্তু এই সব কথাতে বিরোধীরা আক্রমণ থামাননি।

প্রসঙ্গত, বিহার প্রশাসনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিজেপি। আর গেরুয়া শিবিরের শাসনাধীন রাজ্যে মন্দিরের উপরে কর বসানো নিয়ে বিতর্ক এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর এক সদস্য কমলেশ্বর চৌপল এই নয়া করের নির্দেশের কড়া সমালোচনা কর একে জিজিয়া করের সঙ্গে তুলনা করেছেন। প্রসঙ্গত, জিজিয়া কর হল মুঘল আমলে অমুসলিমদের থেকে নেওয়া কর। জনপ্রতি বাৎসরিক এই কর আকবরের আমলে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে ঔরঙ্গজেবের আমলে সেটি পুনর্বহাল হয়।

[আরও পড়ুন: পরিবার নেই, স্বজন হারানোর বেদনা বোঝেন না যোগী! অখিলেশের মন্তব্যে ঘনাল বিতর্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement