সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে শুধু অযোধ্যাতেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে নানা প্রস্তুতি। আর এই আবহেই মন্দির নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর। তাঁর দাবি, মানসিক দাসত্বের পথে নিয়ে যায় মন্দির। আর শিক্ষাই হল আলোর পথের দিশারী। তাঁর এহেন মন্তব্যের পালটা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।
কোটি কোটি টাকা খরচ করে রামমন্দির তৈরি এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে নানা আয়োজন হচ্ছে অযোধ্যায়। যা নিয়ে তোপ দাগতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। অনেক বিরোধী নেতার দাবি, রাম নাম ব্যবহার করে ধর্মের রাজনীতি করছে বিজেপি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান নিয়ে মোদি সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। এমতাবস্থায় বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে সেই আগুনে ঘৃতাহুতি হয়েছে। তাঁর মতে স্কুলই জীবনে আলোর পথ দেখাবে। মন্দির কেবলমাত্র মানসিক দাসত্বের পথ প্রশস্ত করে। চন্দ্রশেখরের বক্তব্য সমর্থন করেছেন তাঁর দলের বিধায়ক ফতে বাহাদুর সিং।
[আরও পড়ুন: ‘যোগ্যদের ৬০ বছরেও বিদায় দিই না আমরা’, নবীন-প্রবীণ বিতর্কে বার্তা মমতার]
রবিবার রোহতকের একটি জনসভায় রামমন্দিরের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। বলে দেন, “রামমন্দির এমন একটা জায়গা যেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায় নিজেদের পকেট ভরাবে। ভুয়ো হিন্দুত্ববাদ আর ভুয়ো দেশপ্রেম থেকে দূরে থাকাই ভালো। রাম আমাদের সকলের মনে রয়েছেন। তাঁর দর্শনের জন্য কোনও মন্দিরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।” এরপরই যোগ করেন, “আপনার চোট লাগলে কোথায় যাবেন? মন্দির নাকি হাসপাতাল? আপনি একজন অফিসার কিংবা বিধায়ক-সাংসদ হতে চাইলে কোথায় যাবেন? স্কুল নাকি মন্দির?”
তাঁর এই মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। কটাক্ষের সুরে বলে দেন, আফজল গুরু বা মহম্মদ আলি জিন্না নয়, ক্যাপ্টেন আব্দুল হামিদের মতো নেতার প্রয়োজন। তিনি বলেন, “রামমন্দির সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার পথ দেখাবে। বুঝতে পারি না কেন বার বার রামমন্দির নিয়ে এত আপত্তি জানানো হচ্ছে। এদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে এরা বাবর এবং আফজল গুরুর ছবি টাঙিয়ে পুজো করবে।” সব মিলিয়ে রামমন্দির উদ্বোধনের আগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।