নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) পালে হাওয়া টানতে চার রাজ্যে ২১ জন সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেই ২১ জনের মধ্যে ১২ জন সাংসদ জিতে এসেছেন। সেই ১২ জনের মধ্যে ১০ জন বুধবার লোকসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। এঁদের মধ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও রয়েছেন।
যে ২১ জন সাংসদকে বিজেপি (BJP) দাঁড় করিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রাজস্থানের ৩ জন, মধ্যপ্রদেশের ২ জন এবং ছত্তিশগড়ের একজন সাংসদ পরাস্ত হয়েছেন। ভোটে হেরে গিয়েছেন তেলেঙ্গানার ৩ সাংসদই। তবে বাকি যারা জিতে এসেছেন তাঁদের প্রত্যেকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের তরফেই এই সাংসদদের ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের রাজ্য বিধানসভায় বড় দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে পা দিয়েই আত্মঘাতী হচ্ছে বাঙালি! সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
বুধবার এই ১২ জনের মধ্যে ১০ জন সংসদে এসেছিলেন। ১০ জনই ইস্তফা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জন আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar) এবং প্রহ্লাদ সিং, এই দুই মন্ত্রীই সাংসদ পদ ছেড়েছেন। আগামী দিনে মন্ত্রিসভার সদস্যপদও ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের আগে ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও রদবদল হতে পারে। ১২ জন জয়ী বিধায়কের মধ্যে রাজস্থানের বাবা বালক নাথ এবং ছত্তিশগড়ের রেণুকা সিং এদিন লোকসভায় আসেননি। তবে আগামী দিনে তাঁরাও ইস্তফা দেবেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু: কড়া সিদ্ধান্তের পথে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি, অভিযুক্ত ‘আলু’কে সাসপেন্ডের সুপারিশ]
সাংসদদের ইস্তফার ফলে ওই আসনগুলি শূন্য হয়ে গেল। যদিও ওই আসনগুলিতে উপনির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। কারণ কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন। এই কয়েক মাস ওই আসনগুলি সাংসদ শূন্যই থাকবে।