সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের প্রভাব কি পড়ল পাক জঙ্গিদের (Pak terrorist) মধ্যেও? ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গিরা জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ছেড়ে ইদানিং ঝুঁকেছে অন্য অ্যাপের দিকে। ভারতীয় সেনার কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, তিন ধরনের নয়া অ্যাপ ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। লক্ষ্য, ধীরগতির ইন্টারনেটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও যাতে নাশকতা চালানোর জন্য নিজেদের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখা যায়।
সম্প্রতি কাশ্মীরে (Kashmir) হওয়া বেশ কিছু এনকাউন্টার এবং জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের পরে তদন্তে নেমে এ বিষয়ে তথ্য হাতে আসে ভারতের। মৃত ও ধরা পড়া জঙ্গিদের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, পাক জঙ্গিরা নতুন কোন অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করেছে। তবে গোপনীয়তার খাতিরে অ্যাপগুলির নাম জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘নেতাজিকে হত্যা করেছিল কংগ্রেস’, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজের]
জানা গিয়েছে, ওই নয়া তিন মেসেজিং অ্যাপের একটি আমেরিকায় তৈরি। দ্বিতীয়টি ইউরোপের। আর একেবারে সাম্প্রতিক অ্যাপটি তুরস্কে তৈরি। আপাতত এই তিনটি অ্যাপ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। এর মাধ্যমেই জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতারা তাদের অধস্তনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। তৈরি করা হয় পরবর্তী হামলার পরিকল্পনা। এর মধ্যে একটি এমন অ্যাপ রয়েছে, যেটি ব্যবহার করতে গেলে কোনও ফোন নম্বর, ইমেল আইডি লাগে না। নিজের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রেখেই তা ব্যবহার করা যায়। ফলে সহজেই অনুমেয়, এমন অ্যাপ জঙ্গিদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই অ্যাপগুলির অন্যতম বিশেষত্ব হল ২জি ইন্টারনেট পরিষেবাতেও দিব্যি ব্যবহার করা যায় এগুলি। আসলে ২০১৯ সালে ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস পরে ইন্টারনেট চালু হলেও ৩জি কিংবা ৪জি পরিষেবা চালু করা হয়নি। উদ্দেশ্য ছিল, ধীরগতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পারবে না। তখন থেকেই জঙ্গিরা এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। নয়া অ্যাপ তাদের সেই সুযোগ দিচ্ছে। যদিও সরাসরি স্যাটেলাইটকে ব্যবহার করেও জঙ্গিরা ফোন ব্যবহার করে। তবুও, এই নতুন অ্যাপ তাদের সুবিধা দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপকে বিদায় জানিয়ে নয়া অ্যাপই ব্যবহার শুরু করেছে তারা।