সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে পালটেছে রণকৌশল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ‘ট্রেঞ্চ ওয়ার’ বা নাৎসি সেনাপতি রোমেলের ‘ট্যাঙ্ক এসলট’ আজ অতীত। তার জায়গা নিয়েছে অত্যাধুনিক মিসাইল ও স্যাটেলাইট গাইডেড বম্ব। ঠান্ডাঘরে বসে বোতাম টিপলেই হল। মুহূর্তে ধেয়ে যাবে মারণাস্ত্র। জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাবে দুশমন। সেই পথেই এগিয়ে আরও আধুনিক হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। চলতি বছরের শেষের দিকেই ব্রহ্মস মিসাইলের এক অত্যাধুনিক সংস্করণের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে।
[গিরিশ পার্কে মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা, ব্যাহত পরিষেবা]
ঘাতক ব্রহ্মস মিসাইলটি ভারত ও রাশিয়ার যৌথভাবে বানিয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’দেশের সেনার ভাঁড়ার রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। তবে আরও আধুনিক সংস্করণ তৈরি করা হচ্ছে। স্থলসেনা ও নৌসেনার পর এবার ক্ষেপণাস্ত্রটি পেতে চলেছে বায়ুসেনা। চলতি বছরের মধ্যেই সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করা হবে। মিসাইলটির নির্মাণকারী সংস্থা ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’-এর শীর্ষকর্তা আলেকজান্ডার মাকসিচেভ জানান, চলতি বছরের মধ্যেই মিসাইলটির নয়া সংস্করণের পরীক্ষা শেষ হবে। বায়ুসেনার বিমান থেকে ছোড়া যাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি। সংস্থাটির মুখপাত্র প্রবীণ জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে সংযোজিত করা হবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। মিসাইলটিকে আরও ঘাতক করে তুলতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই পোখরান থেকে ছোড়া হয় সুপারসনিক মিসাইলটির নয়া অত্যাধুনিক সংস্করণ। শব্দেরও কয়েক গুণ গতি সম্পন্ন এই মিসাইলটি ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক‘ চালাতে মদত করবে। প্রায় ২৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলটি। ‘মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারত। ফলে মিসাইলের ক্ষমতা বাড়ানো সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ভয় নেই। ফলে এবার মিসাইলটির পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে তোলা হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ৪০টি সুখোই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে সেনা। চিন ও পাকিস্তানের কাছ থেকে লাগাতার হামলার হুমকি পাওয়ার মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া শুরু করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। কেন্দ্রের লক্ষ্যই হল, একইসঙ্গে দু’মুখো যুদ্ধ শুরু হলে ভারত যেন পালটা মাত দিতে পারে শত্রুদের। একবার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ভারতীয় বায়ুসেনার সদস্যরা যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসে বহুদূরেও শত্রুঘাঁটি ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারবে। ভূমি বা সমুদ্রে সমান দক্ষতায় কাজ করতে পারে ব্রহ্মস।
[রাজ্যে মোমো আতঙ্কে নয়া মোড়, অ্যাপের সন্ধান পেল সাইবার সেল]
The post মুহূর্তে পুড়ে খাক হবে শত্রুসেনা, সুখোই-ব্রহ্মসের যুগলবন্দিতে অপ্রতিরোধ্য ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.