স্টাফ রিপোর্টার: রাত পোহালেই রাজ্যে প্রাথমিক টেট। রবিবার বেলা ১২টায় শুরু হবে পরীক্ষা। চলবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। ১ হাজার ৪৫৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন। এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য পরিবহণের যাতে কোনওরকম ফাঁকফোকর না থাকে সেজন্য কোমর বেঁধে নামছে পরিবহণ দপ্তর। রবিবার পথে থাকবে ২ হাজারেরও বেশি সরকারি বাস ও ৩৬ হাজার বেসরকারি বাস। সব মিলিয়ে ৩৮ হাজার বাস নামবে। শুধু বাস কিংবা অটো নয়। টোটো এমনকী, ফেরি পরিষেবাও থাকবে প্রচুর পরিমাণে। চলবে বাড়তি ট্রেনও। পূর্ব রেল জানিয়েছে, বাড়তি ১৬ জোড়া ট্রেন চলবে শিয়ালদহ ডিভিশনে। হাওড়া, আসানসোল, মালদা ও খড়গপুর ডিভিশনে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতোই ট্রেন চলবে আগামী রবিবার, পরীক্ষার দিন।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী শুক্রবার জানিয়েছেন, রবিবার টেটের পরীক্ষার্থী, অভিভাবক মিলিয়ে দশ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ পথে নামতে পারেন। তাই সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে ৩৮ হাজার বাস নামবে আগামিকাল। রবিবার ছুটির দিন হলেও বেসরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারি বাস মালিক এবং কর্মচারীদের কাছে আবেদন করেছেন পরিবহণমন্ত্রী। এছাড়া, পরীক্ষার্থীদের পরিবহণ সংক্রান্ত কোনও অসুবিধায় যাতে না হয়, তার জন্য রাজ্যে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দুর্গাপুর হেডকোয়ার্টার কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রয়েবেন উজ্জ্বল সামন্ত আর বাপ্পাদিত্য মণ্ডল। ফোন নম্বর ৭৩৬৩৯২০০৭০। বাপ্পাদিত্য মণ্ডল ৯৪৩৪৬৭৩৮৪২। ডিইও শুভেন্দু দাস ৭৬৯৯৯৯৫৯১০। বেলঘরিয়া ডিভিশনাল অফিসের দায়িত্বে থাকবেন, সুব্রত মজুমদার, গোবিন্দ দাস, আকাশ দত্ত। তাঁদের নম্বর ৯৮৭৫৩৭৪২২৭, ৯৮৩৬৯৫৬১৯৯, ৮৭৭৭০৪৭১৪৭।
[আরও পড়ুন: ১২৮টি দল নিয়ে আজ শুরু এমপি কাপ, উদ্বোধনে অভিষেকের সঙ্গে হানি সিংও]
পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিশ্চিদ্র করতে, বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি, সিসিটিভি নজরদারির মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়ে প্রস্তুত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের কথায়, ‘‘একেবারে স্বচ্ছতার সঙ্গে টেট নেওয়ার জন্য পর্ষদ বদ্ধপরিকর। তার জন্য আমরা সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করছি। আমরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছি না।’’
ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থী, অবজার্ভার, ইনভিজিলেটর, সেন্টার ইনচার্জ, পুলিশ, জেলা প্রশাসন-সহ পরীক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত সকলের কার কী করণীয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। শুক্রবার আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবারও সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থী বা অন্য যে কেউ যদি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেন বা পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা নথি ডিজিট্যাল বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে আদানপ্রদান করেন, তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেবে পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেও চালু রয়েছে কন্ট্রোল রুম।