ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনার কারণে চলতি বছরে ভারচুয়ালি বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান (Biswa Bangla Sharad Samman) অনুষ্ঠানে শামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুভেচ্ছা জানালেন পুরস্কার প্রাপক ক্লাবগুলিকে। জানালেন, ঢেলে সাজানো হয়েছে দক্ষিণেশ্বর। পূর্ব মেদিনীপুরবাসীকে জানালেন নন্দীগ্রাম দিবসের শুভেচ্ছা। শিশির অধিকারী-সহ কয়েকজনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করলেও নামই নিলেন না শুভেন্দু অধিকারীর।
প্রতি বছরই রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজন করা হয় বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠান। সেখানে গোটা বাংলার নির্বাচিত বেশ কিছু পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। করোনার কারণে চলতি বছরে নবান্ন থেকে ভারচুয়ালি ওই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথমে কলকাতা বাদে ২২ টি জেলার মোট ২৭১ টি পুজো কমিটির হাতে তুলে পুরস্কার দেন সেখানকার জেলাশাসকরা। সেরা পুজোগুলিকে দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। সেরা মণ্ডপের পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা এবং সেরা কোভিড সচেতন পুজোগুলিকে দেওয়া হল ২০ হাজার টাকা করে। জেলার পর কলকাতার সেরা পুরস্কার প্রাপক ক্লাবগুলির নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: Phone Pay-এর ক্যাশব্যাক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের নামে প্রতারণা, ১০ হাজার টাকা খোয়ালেন যুবক]
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে দুর্গাপুজো ভালভাবে, সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য ক্লাব ও পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে কালীপুজো, ভাইফোঁটা ও ছটের শুভেচ্ছা জানান। পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, আসন্ন পুজোগুলির ক্ষেত্রেও সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার। ভিড় নিয়ন্ত্রণের। সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “অনেকে নিয়ম মানছে না। মানুষের মধ্যে কোভিড স্প্রে করে দিচ্ছে।” এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরকে আরও সাজিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড করে দেখানো হবে মন্দিরের ঐতিহ্য। পাশাপাশি এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের নন্দীগ্রাম দিবসের শুভেচ্ছাও জানান তিনি। আন্দোলনের দিনগুলির কথা স্মরণ করে বলেন, “শিশিরদা-সহ যাঁরা নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে শুভেচ্ছা।” আশ্বাস দেন পাশে থাকার। তবে একবারের জন্যও উল্লেখ্য করেননি শুভেন্দু অধিকারীর নাম, যা নিয়ে দলের সঙ্গে মন্ত্রীর দূরত্ব নিয়ে আলোচনার বিষয়টি আরও উসকে উঠেছে।